অত্যন্ত ক্ষুধার্ত ছিলাম আমি সেই দিনে
জন্মে ছিলাম যেদিন
অনেক চেষ্টা করেছিলাম খাবারের জন্যে
কেউ দেয়নি সেদিন
উপায় না দেখে কান্না শুরু করেছিলাম
অবশেষে আমার মুখে আহার পেয়েছিলাম
তুলে দিয়েছিলেন আমার মা
আজ সত্য কথা বলি
আমার সেই কান্না আসলে ছিলনা প্রকৃত কান্না
ওটা ছিল খাদ্য পাবার জন্য একটা অভিনয়,বাহানা।

সেই থেকে আজ অবধি
অভিনয় করছি নিরবধি
জীবনের প্রতিটি প্রয়োজনে
জীবনের প্রতিটি আয়োজনে
যেদিকে আমি তাকাই
অভিনয় করছে সবাই
মনে কষ্ট মুখে হাসি
মুখে মুখে ভালবাসি
বুকে ভয় চোখে সাহস
মৃত্যু জয়ের দুঃসাহস।


কলেজে একদিন দেখলাম
হেঁটে যাচ্ছে কাকলী খান
তার সামনে এমন অভিনয় করলাম
যেন তাকেই ভালবেসে নিজেকে উৎসর্গ করতাম
সে আমায় বললো, আমি যদি টিয়ে পাখি হতাম
সারাদিন তোমাকে ট্যাঁ ট্যাঁ করে ভাল বাসতাম।
তারপর একদিন বললো কাকলী,
পড়াশোনার জন্য যেতে হবে দিল্লি
দু'বছর পর দেখা হবে
ই-মেইল করো, স্কাইপিতে দেখা হবে।
দু'বছর পর সে ঠিকই এসেছিল
সাথে এক বছরের সন্তান ছিল
চমৎকার অভিনয় সেও করেছিল।


বিয়ের পর স্ত্রী বললো, আর পারছি না
এবারের সিনেমা শাশুড়ি বনাম মা।
বন্ধুদের মিষ্টি হাসির কথা
চোখের মণিতে অদ্ভুত এক ব্যথা।
ক্রেতাগণ দোকানে হোটেলে কাঁচাবাজারে যায়
বিক্রেতার অভিনয়ে পচা মাছ তাজা হয়ে যায়।
দেশে দেশে রাজনীতির অভিনয় দেখে দেখে
রক্তাক্ত মানুষ রাস্তায় পড়ে থাকে।
ধর্মের অভিনয় দেখে দেখে
ভগবান বোকা বনে থাকে।
পৃথিবী আসলে একটা মঞ্চ অভিনয়ের
দক্ষ অভিনেতা সন্ধান পায় বিজয়ের।