ব্যালকনিতে দাড়িয়ে আজও রোজ
নিরবে মনের কাছে জানতে চাই খোঁজ
এটা কি সেই জলহীন গোলাপ?
পরিচর্যাহীন টবে তূষ্ণায় করছিল প্রলাপ!
ঝরঝর পাপড়িগুলি; আহা! কি জ্বালাময় দৃশ্য?
আজও শুকায়নি তার আর্দনাতের দরুন তৈরি ক্ষত
অনেকটা নাড়িয়েছিল মোরে তার দুর্বল পাপড়িগুলো
তার মিনতি বেশ ভাবিয়েছিল; হয়েছিলাম এলোমেলো.
আহা! কি জীর্ণ, শীর্ণ, সংকীর্ণতায় আটসাট ঐ তনু?
নিথর দেহে মোর শূন্যতার সংযোগ দিয়েছিল দ্যু
ঘটনকালে মোর ইচ্ছে শক্তি স্বল্পই ছিল সক্রিয়
অজানা মনরথ করেছিল তাকে প্রিয়
অদ্ভুত দৃষ্টিতে বলেছিল: দিবে? ক'ফোটা জল!
ততক্ষনে যেন হারিয়ে বসেছি সব সম্বল
মনের অজান্তেই চিকচিক করে ওঠে চোখের কোণা
সে বাধা দিয়েছিল; ইশারায় বললাম: থাক না.
অনেকটা অশ্রু ঝরে ছিল তার উপর সেদিন
হেসে বলেছিল, একদা শোধ দিবে ঋণ
বিস্মিত হয়ে দেখেছিলাম পাপড়িতে পড়া অশ্রু
আহা কি সৌন্দায়! হয়েছিলাম ভিষন ভীরু
চাঁদ, তারার মাঝেও পায়নি এত পূর্ণতা
অজান্তেই দূরে সরে গেল মৌনতা
সেই থেকে বিভোর তার পরিচর্যায়
অনেক রজনীতে সে হয়েছে শত্রু নিদ্রায়...............(অসমাপ্ত)