রক্তের সাথে রক্ত মিলে,
লেখা আছে কি কোনো রক্তে কোন ধর্ম?
রক্তের রং লাল,
সে তো সবার শরীরে প্রবাহিত।
কেনো এত হিংসা!
ধর্মের দেও দোহাই?


মানুষ রক্তে মাংসে গড়া!
ভুলে যাও কেনো এ কথা!
হিংসা বিবেদ ছাড়ো,
রক্ত স্বীকার করো, যা সব দেহে চলো মান।


কাদের বলো বে-ধর্মী?
নিজ ধর্মের বাহিরে যারা?
ওদের রক্ত কি নীল, নাকি সবুজ?


কেনো এত নিয়মের জঞ্জাল! হ্যাঁ মেনে নেও।
ধর্ম যার যার, মানুষ মোরা সবার।
নিয়মের চোখ বিবেকের রাস্তা,
সমাজ বলে যে আছে কিছু,
সব কি অনিয়মেই চলে?


ধর্ম তুলে কেনো করো এত বড়াই!
নিজ ধর্মে তুমি কি খুবই অটুট?
প্রশ্ন করো নিজেকে।
সততার মূল্য আছে কি তোমার চরিত্রে?
উত্তর মিলে, বলো কথা।
সততা যদি থাকে তোমার চরিত্রে,
কখনই করবে না ধর্ম নিয়ে বড়াই,
ধর্ম এ শিক্ষাই দেয়,
হিংসা তর্ক নয়।


স্রষ্টার সৃষ্টি, আমরা মানব।
ধর্ম নীতিতে করি বয়ান,
নিজ ধর্মের কার্যক্রম কখনো কি করেছি ইবাদতের মধ্যে স্রষ্টাকে অনুসরণ?


তাহলে তুমি কোন ধর্মের মানব!
ধর্ম নিয়ে যুক্তি করো,
স্রষ্টার ইবাদতকে নয়!
এ তোমার কেমন ধর্ম,
ন্যায় নেই যার উদাহরণ বলো?


ধর্ম বলে না এমন নীতি,
যেখানে যুক্তি দেখাও।
স্রষ্টা একজন,
আমরা সকল সৃষ্টি তাঁহার,
ধর্ম নিয়ে করো না বড়াই,
স্রষ্টার অনুসরণীয় হও।