বর্ষাকালের প্রথম দিকে পূর্ণিমার এক রাতে ।
বাজার থেকে ফিরলো দাদু আমের চারা হাতে।।


সকাল হতেই কোদাল হাতে শুরু মাটি খোঁড়া।
কলের পাশে জলের ধারে পুত লো শখের চারা।।


শঙ্কর জাতের ভালো চারা ফল নাকি দেয় খাটি।
তার ওপরে দাদুর যত্নে নেইকো কোনো ত্রুটি।।


বছর শেষে এক হাত চারা বেড়ে কালো পাঁচ।
দাদুর গর্বে বুক ফুলে যায় দেখে নিজের গাছ।।


দ্বিতীয় বছর মাঘের শেষে মুকুল মার লো উঁকি।
লাভ হলো না ফলের বেলায় গাছটা দিলো ফাঁকি।।


আসছে বছর আবার হবে দেরীতে নেই ক্ষতি।
এই না ভেবে দাদুর প্রেম অটুট গাছের প্রতি।।


তিন বছরের মাথায় কড়া এল গাছের ডালে।
সবকটাই মাটির কোলে ঝরল কালে কালে ।।


পাতার ফাঁকে যাও একটা টিকলো কষ্ট করে।
দাদুর, সেই আশাও চূর্ণ হলো কালবৈশাখীর ঝড়ে।।


চার বছর পরে আজ, মুকুল ভর্তি ডালে।
গাছ তলায় দাঁড়িয়ে আমি কেটে ফেলবো বলে।।


সারা পাড়া খুঁজে এলাম করে তন্য তন্য।
পেলাম নাকো আমের ডাল শ্মশান কাঠের জন্য।।


বলছে সবাই দাদুর গাছ তাঁর সাথেই যাক।
তবু মনটা আমার দিচ্ছে না সাই করতে কোপাঘাত।।


থাকে নাকো চিরকাল খাঁচায় অচিন পাখী।
তবু ইচ্ছে মোর   "রীতি ভুলে স্মৃতিটাকে রাখি"  ।।