আজ আর পাইনা খোঁজে,
ফেলে আসা, দুরন্ত ছেলেবেলা
কালের স্রোতে হারিয়ে গেছে -
সকাল কিংবা সন্ধ্যা বেলা ।


খুব ডানপিটে ছিলাম আমি
মুখস্থ ছিল, পথের অলিগলি,
দুষ্টুমি,বকুনি বাবা-মায়ের শাসন
চঞ্চলতাই ছিল, সর্বোচ্চ আসন ।


ভাই-বোনের খুঁটিনাটি ঝগড়া-ঝাটি
কান্না-হাঁসি মিটিমিটি,
ডাংগুলি, গোল্লা ছুট, ফুটবল-
কানামাছি আর লুকোচুরি খেলেছি কত,
সেই দুরন্ত ছেলে বেলায় ।


পুকুরের জলে, লাফা লাফি
পানকৌড়ির মত, ডুব সাঁতার,
সাঁতরে সাঁতরে পুকুর হয়েছি পার
প্রতিযোগীতাই ছিল, ডুব সাঁতার,
প্রথম পৌঁছাবে যে, জয়ের মালা তার ।


জোরে জোরে পড়লে, পড়া হয় মুখস্থ
নির্দেশ ছিল বাবার,
পরীক্ষার আগে, পড়া হতে হবে সব ঠোঁটস্থ ।


মাঝির সাথে, সখ্যতা করে
নৌকায় চড়ে, চলে যেতাম বহু দূর,
ঝিলের জলে, শাপলা-শালুক কুড়িয়ে –
পেতাম বেজায় সুখ ।


জ্যৈষ্ঠ মাসে আম বাগানে -
দিতাম উঁকি-ঝুঁকি,
সুযোগ পেলেই, আপন মনে ভরে নিতাম ঝাঁকি ।

সময়ের স্রোতে, পাইনা খোঁজে
ফেলে আসা সেই, দুরন্ত শৈশব,
স্নেহ, মায়া–মমতার আজ বড়ই অভাব ।


পরীক্ষায় বেশি নাম্বার না পেলে
বাবার হাতের বেত্রাঘাত,
হতে হবে যে! ইঞ্জিনিয়ার বা ডাক্তার
ধরতে হবে সংসারের হাল,
ছিলাম আমি বাবা-মার
একমাত্র ছেলে সন্তান ।


যান্ত্রিক জীবনে আজ
খেলাধুলা, দুষ্টুমি সব বারণ,
টিভি আর মোবাইল-শুধু আজ মনোরঞ্জন।


কালের বিবর্তনে আজ
শৈশব গেছে হারিয়ে, স্মৃতির অন্তরালে
আজও, খুঁজি হারিয়ে যাওয়া –
" সোনালী শৈশব "