তুমি চিরতরে গেছো উড়ে
পাখনায় ভর করে ইস্তফা দিয়ে,
চিরতরে, আমায় ছেড়ে......!
তবু আমি, পড়ে আছি ঘরে -
নিথর-নিস্তব্ধ হয়ে,
পাখিদের গুঞ্জনে, এই অরণ্যে'র ঘ্রাণে ।


দেখবে সবাই !
জীবন–মৃত্যু'র এই অনিবার্য খেলা,
দেখবে, নিস্তব্ধ রক্তহীন দেহ
লুকিয়ে আছে, পর্দার আড়ালে,
চোখের ভেতর অপূর্ণতা -
ঢেকে আছে, তুলসী'র আড়ালে ।


আর মাত্র কিছু মুহূর্ত !
আমি উড়ে যাবো, একমুঠো ছাই হয়ে,
মৃত্যুপুরী'র সাজানো সেই শহরে,
সেথায় আমি স্মৃতিময় পুষ্প হয়ে....
ফুটবো সদা প্রিয়ার মনে ।


রেখে যাবো পদচিহ্ন -
প্রিয়ার ললাট মাঝে,
কেড়ে নেবো, সব রঙ -
যে রঙে সাজিয়ে ছিলাম তাকে,
যত্ন করে, সাতপাকে ঘুরে ।


নিঃসঙ্গ'তা দিয়ে যাচ্ছি আজ তাকে
স্বপ্নলোকের তীব্র ঘোরে,
দৃশ্য হয়ে, আমি আর ভাসবো নাহ
স্পর্শে'র ব্যাকুলতায়, তাকে আর ছোঁব নাহ ।


আমার সমাধি জুড়ে
ফুলেল সুবাস প্রিয়ার হৃদয়ে,
স্নিগ্ধ জ্যোৎস্নায় এক ফালি নাগরিক চাঁদ হয়ে
স্পর্শ করবো, প্রিয়ার দেহ,
থাকবো সেথায় আমি, নিরাকারের ছোঁয়ায়
প্রিয়ার থেকে অনেক দূরে ।