মহালয়ায় পিতৃ পক্ষের অবসান হয়ে
মাতৃ পক্ষের শুরুতে –
প্রিয় সন্তান- সরস্বতী, লক্ষ্মী, গণেশ, কার্তিককে সঙ্গে নিয়ে,
শিউলির গন্ধমাখা ভোরে -
শিশির ভেজা ঘাসে, আলতা রাঙা পায়ে হেটে,
অসুর বিনাশী রূপে, ভক্তের কল্যাণে মর্তে আসেন দুর্গা মা ।


আকাশের বুকে শুভ্র সাদা মেঘের ভেলায় ভেসে
মৃদু বাতাসে কাশফুলের শুভ্রতা মেখে,
বাজে মায়ের আগমনী সুর.....
আসছে মা সবাইকে, আনন্দের জোয়ারে ভাসাতে ।


ষষ্ঠিতে দুর্গা মায়ের বোধনে, বেল তলায় মর্ত্যে আগমন
আকাশ বাতাস মায়ের শোভায়, সুরভিত চারদিক,
আগমনী সুরে, শঙ্খ, কাঁসর, ঢাকের শব্দে সোরগোল ।


সপ্তমীতে "নবপত্রিকা" রূপে স্নান করে
চারিদিকে খুশির মেজাজে, পূজার মন্ডবে মায়ের আগমন ।
চলে হরেক আয়োজন, পূরহীতের মন্ত্র পাঠ -
দিচ্ছে সবাই উলুধ্বনি, বাজছে শঙ্খ, কাঁসর, ঢাক,
দেখে মা তোমার মায়ায় ভরা মুখখানি
মনেতে আসে, কতশত ভক্তির বাণী ।  


মহাষ্টমীতে দেবীর পূজার্চনা নিয়ে ব্যস্ত চারদিক
ভক্তেরা পুষ্পাঞ্জলির মাধ্যমে করে, দেবীর আরাধানা ।
হরেক রকম পোষাকে সাজে, পুরুষ, বাচ্চা কিংবা বধূ
অষ্টমী আর নবমী তিথির শুভ সন্ধিক্ষণে –
মা আবির্ভূত হন "দেবী চামুন্ডারূপে",
১০৮ লাল পদ্ম উত্‍সর্গ হয়, মায়ের পায়ে,
জ্বলে ওঠে ১০৮ প্রদীপ ।  


সন্ধি পূজা' শেষ, শুরু হয় মহানবমী
এ বাড়ি, সে বাড়ি, ঘুরতে ঘুরতে সময় যায় চলে,
পূজোর রাড়িতে, খাবারের হরেক আয়োজন
নবমীর সন্ধ্যাবেলা, দেবীর আরতিতে শেষ হয় নবমী তিথি ।


দশমী' মানেই, ঘরের মেয়ে দূর্গা মায়ের বিদায় বেলা
ষষ্ঠি, সপ্তমী, অষ্টমী, নবমীতে ছিলাম মহা আনন্দে,
সাইকে চোখের জলে ভাসিয়ে -
সন্ধ্যায় হবে, মায়ের বিদায় পালা ।


বিদায় বেলায়, মা’র কাছে চাওয়া মনে প্রাণে
শান্তির ধারা বিলিয়ে, আগলে রাখবে -
তোমার আশীর্বাদের ছায়াতলে ।


রচনাকাল : ০৮/১০/২০২১