প্রিয় শ্রদ্ধেয় স্বর্গীয় বাবাকে উৎসর্গ :


কিছু শব্দ, হৃদয় মাঝে
ক্রমাগত, হামাগুড়ি দিচ্ছে প্রতিনিয়ত
কিছু লিখবো ভাবছি,
বাবা ! শুধু তোমার জন্য ।


লিখতে গেলে, হয়তো
কেটে যাবে সারাদিন,
কেমন করে মিটাই বল
বাবা- তোমার ঋণ ?


চলে গেছ, আমায় ছেড়ে
সেই যে কবে, না ফেরার দেশে,
আসলে না আর ফিরে !
কেমন করে, থাকছো তুমি?
আমাকে একা ছেড়ে?


জানো বাবা !
স্মৃতির পাতায় ভেসে উঠে আজো
সেই দিনটির কথা-
যেদিন তুমি নিথর হলে,
বুজলে চোখের পাতা ।


বিদায় বেলায়, দেখতে পাইনি তোমায়
মনে হলে, হৃদয়ে লাগে ব্যথা ।


শেষ আশীর্বাদ! নিয়েছিলাম
চির বিদায়ের, কিছু সময় আগে,
তারপর ! নিজ কর্মের উদ্দেশ্যে ফিরে আসা ।


মিনিট, সেকেন্ড, ঘণ্টা.....
সময় যাচ্ছে বয়ে, নিজস্ব নিয়মে,
অতঃপর ! একটি ফোন
নির্বাক করল আমায় ।


দেখেছি শুধু -
নিথর দেহ, পড়ে আছে খাটিয়ায়,
ভাল করে দেখতে পারিনি, তোমার মুখখানি
ছোঁয়া হয়নি তোমার, নিথর কোমল দেহখানি ।


অবশেষ ! পুত্র হিসাবে করলাম- "মুখাগ্নি”
যে, মুখে শুনতাম, কত মমতার ডাক,
কত উপদেশবাণী ।


জলন্ত আগুনে জ্বলছো তুমি
অশ্রু সজল চোখে .....
নির্বাক হয়ে, শুধু দেখলাম আমি,
হৃদয়েতে পাহাড় সমান, জ্বালা নিয়ে ।


মনে জাগা কিছু প্রশ্ন আজ
ছাড়ছে না আমার পিছু,
কেমন আছো বাবা, পরপারে তুমি?
সবাই প্রাণভরে ডাকে, বাবা-বাবা,
ভেঙে যায়, আমার হৃদয় খানি
আমার আঙিনায়, নাই যে বাবা আজ তুমি ।