হে ! নারী
তুমি প্রাণের পিপাসা মিটানো, প্রেমের মধুর হাঁসি
প্রকৃতির সবুজ বৃক্ষের, মিলন মেলায় শ্যামল ছায়া,
জ্যোৎস্না রাতে, চাঁদ-জোছনার স্নিগ্ধতা রাশি রাশি  ।


নারী তুমি ....
মেঘলা আকাশের বুক চিঁড়ে উঠা, নব প্রভাতের আলো
গহীন কালো আধার ভেঙে -
পাখির গুঞ্জনে, সোনালী ঊষার প্রদীপ জ্বালো ।


নারী তুমি.......
নদী মাতৃক বাংলার পদ্মা, মেঘনা, যমুনার মোহনা
তোমাতেই হয়, নব সৃষ্টির সূচনা,
কালের গর্ভে থেমে থাকা জীবনে, কর তুমি নব সুরের রচনা ।


নারী তুমি .....
শীতের সকালে, কুয়াশার বুকে ঝলমলে মিষ্টি রোদের খেলা
ফাল্গুনে প্রকৃতির বুকে -
কোকিলের কণ্ঠে বয়ে আন বসন্তের বারতা ।
তুমি, বর্ষায় খালে-বিলে সদ্য ফোটা,
লাল–সাদা শাপলার মেলা ।


নারী তুমি....
নজরুলের অগ্নিবীণা, রবি ঠাকুরের মানসী,
জীবনানন্দের বনলতা সেন,
মধুসূদনের মেঘনাদবধ অমর কাব্য !


তুমি নারী !
নারীত্ব তোমার অহংকার,
শত কষ্ট সয়ে, নবজাতক'কে দেখাও আলো,
প্রভেদ করনা কখনও লিঙ্গের ।
তুমি, ঘুমন্ত শিশুর নিশ্চিত কোল,
হৃদয় ভরা মমতা আর ভালবাসায় সিক্ত মাদার তেরেসা ।


নারী তুমি ......
ভক্ত রামকৃষ্ণের– "মা ভবতারিণী" রূপে হও আবির্ভূত
বামাক্ষ্যাপার- "মা তারা" রূপে তারাপিঠে হও পূজিত ।
তুমি, মুকুন্দরামের দেবী "চণ্ডীর" মহিমা
তুমি, মঙ্গল ঘটের "লক্ষী" প্রতিমা ।


তুমিই, জননী– তুমিই  উৎস মনুষ্য কুলের
তুমি বসুধা !  তুমি-ই দুর্গা, তুমি-ই কালী !


রচনা : ০৪/০৪/২০২১