আমি কি রকম ভাবে বেঁচে আছি ?
তা, আমি জানি আর ঈশ্বর জানেন,
আমি পশু বেশে, পশুদের সাথে মিশে-
মানুষের পিছনে ঘুরে বেড়িয়েছি,
দেখেছি মানুষের ভিতরে জাগ্রত, পশুত্ব'টাকে ।


উড়েছি একদল জোনাকি পোকা সাথে-
ঘুরে বেড়িয়েছি, ধুঁধুঁ অন্ধকার মাঝে,
তিমির আঁধারে দেখেছি, জ্বলন্ত জোনাকির আলো
ভাবি ! সেতো আলো নয় –
জোনাকি'র ক্লান্তির ফসল ।


আমি অনাহারে–অর্ধাহারে থাকা
দুঃখী’দের সাথে মিশে, অনুভব করেছি,
ক্ষুধা আর দারিদ্রের জ্বালা –
কি নিষ্ঠুর ! কি নির্মম !


আমি পতিতা'লয়ে, পতিতা'র সাথে কাটিয়েছি রাত
অনুভব করেছি- তাদের বুকে জমানো ব্যথা-বেদনা,
ভালবাসায় নয়, টাকার বিনিময়ে হয়- "ইজ্জত" বিক্রি ।


আমি বেকারের কাতারে, দাঁড়িয়ে দেখেছি
বেকার'দের অবহেলিত জীবন আর
হৃদয়ে জমানো, জ্বালা-যন্ত্রণা,
বুকে বেকারত্বের, পাথর চাপা দুঃখ ।


এত যন্ত্রণার মাঝে বেঁচে থেকেও
একে, কি মানুষে বেঁচে থাকা বলে?
নাকি, কাষ্ঠে'র চুলায় মানুষের ঝলসানো মাংস পিণ্ড ।


আজ আমি চলি, আশার গান গেয়ে
কল্প নাকে দিয়ে ফাঁকি -
কল্পনায় নয়, নয় জীবনের নগ্নতা
বাঁচি আজ, আমি বাস্তবতা'র মাঝে ।