যুদ্ধ !.....যুদ্ধ !.......যুদ্ধ !
এ কিসের যুদ্ধ ?
কিসের জন্য, এত আত্ম-বলিদান ?
এ যুদ্ধ যে, এিশ লক্ষ শহীদের তাজা প্রাণের যুদ্ধ,
দুই লক্ষ মা-বোনের কলঙ্কের- যুদ্ধ ।


যুদ্ধ !.....যুদ্ধ !.......যুদ্ধ !
এ কিসের যুদ্ধ ?
এ যুদ্ধ যে, কলম ফেলে বন্দুক হাতে -
তরুণের বুকের তাজা রক্তে রঞ্জিত যুদ্ধ,
হৃদয়ে মুক্তির স্বপ্ন এঁকে-
কারখানা থেকে ছুটে আসা পরিশ্রান্ত শ্রমিকের যুদ্ধ ।
লাঙল, জোয়াল ফেলে কপালের বিন্দু বিন্দু ঘাম মুছে-
অস্ত্র হাতে, ঝাঁক বেঁধে উলঙ্গ কৃষকের ঝাঁপিয়ে পরার যুদ্ধ ।


যুদ্ধ !.....যুদ্ধ !.......যুদ্ধ  !
এ কিসের যুদ্ধ ?
এ যুদ্ধ যে, দৃঢ় মনোবল নিয়ে-
পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ার যুদ্ধ ।
চারিদিকে রক্তের স্রোতে ভাসা, বাংলার মাঠ-প্রান্তর -
খালে-বিলে, নদীর স্রোতে ভেসে যাওয়া পচাগলা লাশের গন্ধ,
সন্তান হারানো, দুঃখিনী মায়ের বুকফাটা হাহাকারের যুদ্ধ ।


যুদ্ধ !.....যুদ্ধ !.......যুদ্ধ !
এ কিসের যুদ্ধ ?
এ যুদ্ধ যে, ৭ই মার্চের রেসকোর্স ময়দানে অগ্নি শপথের যুদ্ধ!
হায়েনা বেশি, পাক-হানাদারের অত্যাচারে -
জর্জরিত যখন দুঃখিনী বাংলা,
তখনি, বাংলার শ্রেষ্ঠ বাঙালির বজ্রকন্ঠের গর্জন শুনেছিল-
হিংস্র নরঘাতক পাক-হানাদার বাহিনী ।


যুদ্ধ !.....যুদ্ধ !.......যুদ্ধ !
এ কিসের যুদ্ধ ?
এ যুদ্ধ যে, বাংলার শ্রেষ্ঠ পুরুষ !
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে -
সব ভয়-ভীতি পিছু ঠেলে, বাঙ্গালীর অধিকার আদায়ে-
বর্বর পাক-হানাদার বাহিনীর উপর, ঝাঁপিয়ে পড়ার যুদ্ধ ।  


যুদ্ধ !.....যুদ্ধ !.......যুদ্ধ !
এ কিসের যুদ্ধ ?
এ যুদ্ধ যে, নয় মাসের যুদ্ধ শেষে-
ছিনিয়ে আনা লাল সবুজ পতাকার ।
লাখো শহীদের রক্তের স্রোতে ভেসে -
পেয়েছি আজ, জীবনানন্দের- রূপসী বাংলার ছবিটা
হৃদয়ের ডায়রিতে, রক্ত দিয়ে লিখেছি একটি  নাম -           বাংলাদেশ !  বাংলাদেশ ! বাংলাদেশ !