(১)হরিণী (গ্রামের মেয়েটির রূপ বর্ণনা )
সে যেন চঞ্চলা হরিণী ,
বেগে ধাবিত হয়
বুকে নেই ভয়
লজ্জাকে করেছে মেয়ে জয় ,
ছুটে চলে হাটে মাঠে দিবস যামিনী ।
গ্রামের শীর্ণ নদীটির মতো তার রূপ ,
বয়ে চলে কুলকুল স্বরে
তাকায় না তীরে
ছলনায় বুক নাহি চিরে ,
তার তরঙ্গের ঘূর্ণাবর্তে ঘুমায় না মৃত্যুর স্বরূপ ।
(২)চপলা (শহর বাসিনী ধনীর দুলালীর রূপ বর্ণনা )
সে যেন ঝঞ্ঝাক্ষুব্ধ আকাশের বুকে করে খেলা ,
আপন খেয়াল খুশির টানে
কোন বাধা কখনো না মানে
অহঙ্কার সুপ্ত তার মনে ,
প্রেমিকের মন নিয়ে করে খেলা ,নানাভাবে করে অবহেলা ।
জ্বালা-ময়ী প্রেমের পরশ দিতে কখনো জানে না ,
দেখাতে ব্যস্ত নিজ রূপ
সহজেই হয় সে বিরূপ
মনে তার জঞ্জালের স্তুপ ,
প্রেমিকের মন নিয়ে নানাভাবে করে সে ছলনা ।
(৩)ঝড় ( সাঁওতালি মেয়েটির রূপ বর্ণনা )
সে যেন ছুটে চলে বসন্তের কোলাহল নিয়ে ,
আগুনের আঁচে দেহ ভরা
ভয় নেই যত হোক খরা ,
বৃষ্টিতে যদি ভাসে ধরা
তবুও সে প্রকৃতির বুকে ভাসে বাহু দুটি দিয়ে ।
ফাগুনের দিনে ,মনে তার বসন্তের রঙযেন দোলে ,
পলাশের রূপ নিয়ে
গন্ধ বিলিয়ে দিয়ে
নিদাঘের তপ্ত জ্বালা সয়ে ,
মেয়েটির যৌবন হাস্যোজ্জ্বল হয়ে থাকে পলাশের ডালে ।
(৪) মেঘ (কালো কুৎসিত মেয়েটির রূপ বর্ণনা )
মেয়েটি যেন ঘন কালো মেঘের মতন ,
কাউকে করে না অবহেলা
ধীরে ধীরে তার পথ চলা
হাতে নেই সুরার পেয়ালা ,
সুন্দর মনের মাঝে সেই মেয়ে করেছে শয়ন ।
তার কালো দুটি চোখে বৃষ্টির আভাস ,জল করে ছল ছল ,
ঝড় বিদ্যুতের শঙ্কা নেই তাতে
ফুল আছে তাহার দুহাতে
নির্ভয়ে সে হেঁটে যায় রাতে ,
প্রেমের বরষা দিয়ে হৃদয় করে দিতে পারে সে শীতল ;
ভবানীর রূপ তার খেলা করে দেহে মনে নেই তাতে ছল ।
**********************************************