*********************************************
অধ্যাপক তোকে হেসে বলেছিল ,
দেখছিস পুরুষ নারীর সঙ্গে গাছের নীচে বসে
প্রেমালাপ ,ন্যাকামি করছে ,
একে অপরের কোলে শুয়ে রয়েছে ।
ওরা প্রকৃতপক্ষে পুরুষ নয় ,ওদের ভিতরে স্ত্রীহরমোন বেশিআছে ,
পুরুষ হবে শ্যেন ,নারী কপোতী ।
তুই শ্যেন হয়ে কপোতীর মতো
নারীকে নিয়ে যাবি বনে ,
দেখাবি খুলে পুুরুষের বুকে কত আছে কামনার দাগ ,
নারীও হাসিমুখে সয়ে যাবে প্রেমের শরীরের শত অনুরাগ ।
শ্যেন হওয়ার দুঃসাহস হয়নি তোর
চিরকাল নারীদেহ দেখে থেকেছিস দূরে ,
কত রাত কেটেছে তোর যে নারীর সাথে যৌবনকণ্টকের পথে শুয়ে
সেই নারীর দেহ তোকে লুব্ধ করেনি তখন ,
যৌবন কেঁদেছে তোর নিঃশব্দে কখন ।
সেদিনের ঝঞ্ঝার অসুখে সেই নারী ঝঞ্ঝাক্ষুব্ধ হয়নি কখনো
যৌবনের জ্যান্ত মুঠোয় অশ্রুসিক্ত হয়নি যৌবন ,
জানি আমি সেই স্মৃতি তোর বুকে জ্বলছে এখন ।
তার দেহ স্পর্শ না করে পৌঁছে দিয়েছিস সতীত্বের ভোরে
তার প্রেমিকের কাছে ।
তোর চোখে জল কেন ?
তুইও তাকে ভালোবেসে ফেলেছিস নাকি ?
সেই অভিশপ্ত স্মৃতি ভুলে যা ,
চোখের জল মুছে দিয়ে ভুলে যা যৌবনের নিপীড়ন অসুখ ঝঞ্ঝার ;
চুমু দে সোনা মোর ,বুকে আয় তনয় আমার ।
*************************************************