অদ্ভুত চাঁদের আলো নেমেছিল যে নারীর দেহে
সে এক ভিখারিনী ,নিভে যায়নি তার জঠর অনল ,
এসে বসেছিল পথশ্রান্ত হয়ে গাছের ছাওয়ায় ।
তার সঙ্গে এসেছিল এক ধর্ষিতা আর বয়স্থা বারাঙ্গনা
ক্লান্তি নিয়ে অশ্রু নিয়ে চোখে ।
খুঁজে পেয়েছি আমি তাদের দেহে মনে কতভাবে নেমেছিল
বেদনার অদ্ভুত মরণ ,
কতকাল হৃদয়ে হয়েছে তাদের রক্ত ক্ষরণ ।
সেই চাঁদের আলো শুনিয়েছে প্রাণের স্পন্দন ,
শুনিয়েছে ব্যথাতুর প্রাণেওবাজে সুমধুর নূপুরনিক্বণ ।
যে বিস্ময় মানুষের রক্তের ভিতরে খেলা করে
তাকে জানবো বলে শুয়ে আছি আমি
অতল আঁধারের বুকের ভিতরে ।
দেখেছি অস্থিমাংস নিয়ে,অর্থ কীর্তি লোভে ,
মনুষ্য নামক প্রাণী পৃথিবীতে খেলা করে ।
আমি তিনটি নারীর সাথে বসেছি নিভৃতে ,
শিখেছি কীভাবে বেদনার বুকে মানুষ মরে যায় ।
শিখিয়েছি বাঁচার পথ ,বলেছি অন্ধকারে থেকো না নারী ,
আমি তোমাদের মুখে অন্ন দিয়ে হৃদয় খুলে দিতে পারি ।
শুধু দিতে পারবো না তাকে ,
যে বিস্ময় রক্তে খেলা করে ।
আমিও পাইনি মা সেই অমলিন অপার্থিব বিস্ময়ের খোঁজ ,
তাই আজো একা বসে আছি তপস্যার বুকের ভিতরে
স্রোতস্বিনী তীরে ।
****************************************