( কবিতাটি আমার পত্নী স্বর্গীয়া প্রতিভা পাত্রকে উৎসর্গ করলাম )  
যেদিন ঘরে  প্রথম এলে  প্রাণের প্রণয়িনী
রূপের মাঝে  হারিয়ে গেছি  রূপের নির্ঝরিণী ।
তোমায় ছাড়া  মন রাখতে  পারতাম না কাজে
তুমি ছিলে  অনেক কাছে   ছিলে হৃদয় মাঝে ।
কথায় কথায়  লজ্জা ছিল   বলতে কম কথা
তোমার কোলে  মাথা রেখে  ভুলে যেতাম ব্যথা ।
বলতে তুমি  করছটা কী ?  দেখতে পাবে লোকে
কোন বাধা   মানতাম না   টেনে নিতাম বুকে ।
প্রণয় ছিল  হদয় মাঝে    চোখে ছিল লাজ
তারও চেয়ে  করলে আপন  নতুন গৃহের কাজ ।
আমার বুকে  থাকতে তুমি   থাকত এলোকেশ
স্বর্গ আমার   নামত ঘরে   ছিলাম আমি বেশ ।
এক পলও   তোমায় ছাড়া   থাকতে পারিনি
আমার মাঝেই  হারিয়ে গেছ  আমার গরবিনী ।


ইনিয়ে বিনিয়ে  বলতে নাকো  ভালোবাসার বাণী
আমার জন্যে   গোপন ছিল   সরল হৃদয়খানি ।
যেদিন হলাম  রোগজর্জর   থাকতাম আমি ভয়ে
আহা ,বলে  সজল চোখে  পাশে গেছ শুয়ে ।
চোখের জল   জানিয়েছিল   প্রেমের গভীরতা
একটি বীজের  মুক্তি মাঝে  মহীরুহের কথা ।
আমায় ছেড়ে  চলে গেছ   ছিঁড়ে মায়ার ডোর
একা আমি   পড়ে আছি   তোমার হৃদয় চোর ।


রাগ করলে   হেসে আমায়  বলতে তুমি ভীরু
জীবিত থেকেও  মৃত আমি  বজ্রাহত তরু ।


**************************************