গতকাল গলির মোড়ে দেবী দূর্গা আমার
সামনে এসে দাঁড়িয়ে খুব হাসছিল।
সেখানে অন্ধকার জমাট হয়েছিল
অথচ এত আলো কোথা থেকে আসছে
প্রথমে বুঝতে পারিনি ।
পরে বুঝলাম সেটা দেবীর হাসি ।
তার কানের দুল দুটো নগেনের দোকানের
ছোট ছোট জিলিপির মতো ।
মা হাসতে হাসতে জিজ্ঞাসা করল , “ এবার
পূজায় কটা প্যান্ট শার্ট হয়েছে ?
কটা জায়গায় পূজা দেখবি ?অষ্টমি তিথিতে
অঞ্জলি দিবি তো ? গত বছরের মতো মদ খেয়ে শুয়ে থাকবি না তো ?আমি বললাম “তুমি কেমন মা ?ছেলেকে উলঙ্গ দেখতে চাও না ?প্যান্ট শার্ট পূজার আড়ম্বর অঞ্জলির কথা
জিজ্ঞাসা করছ ? তুমি কী বড়লোকের মা ?
ছিঃ! তোমার পূজা দেখব না  ,অঞ্জলিও দেব না , তাছাড়া সেদিনের মদ খাওয়ার আমেজই
আলাদা । দেখলাম দেবী লজ্জা পেল  ,ঠিক
লোডসেডিং হলে যেমন হঠাৎ  অন্ধকার
নেমে আসে তেমন মনে হল ।
তোর তো চাল চুলো নেই ভক্তিও নেই তুই বাউণ্ডুলে মাতাল তোর আমি সহায় হবো না  ।
আমি বললাম ,“ তুমি কেমন মা ? মাতালের মা নও ?মিথ্যা কথা তুমিও বলতে পারো ছিঃ!
এইমাত্র কুষ্ঠরোগীর রূপ ধরে আমার কাছে
দশ টাকা নিয়ে পেট ভরে খাওয়ার পরে বললে
যা দেবী দূর্গা তোর সহায় হবে । এখন অস্বীকার করতে লজ্জা করে না ?পরাজিতা
দেবী লজ্জায় মাথা নীচু করে বাতাসে
মিলিয়ে যেতে যেতে বলল , “ তোর মতো ন্যাংটা ছেলের সঙ্গে পারি না । ”


****************************