ঘুমপাড়ানীর গান গেয়ে আর কতকাল?
দেশ তো জেগে ওঠে না চোখ ভেজালে পালা পালা।
আমাদের চোখে আগুন, বুকে বিদ্রোহ,
এখানে লাশের নিচে চাপা পড়েনি ইতিহাসের রোষ।
রক্ত দিয়ে কেনা স্বাধীনতা,
তার গান হবে কি শুধু কান্নার ব্যাকরণে লেখা?
শত্রুরা হাসে—আমরা চুপ,
কারণ আমাদের গানে নেই বজ্রের রূপ।
এই গান না থামালে জাতি থেমে যাবে,
হাঁটবে না সামনে, কেবল পিছে হাবে।
বীরের সন্তান হয়ে কবে জাগবি তুই?
চোখের জল না, হাতে তলোয়ার তুলিস কই?
আমরা চাই আগুনের সুর,
যা শুনে শত্রুরা বলে — "ওরা আসছে দূর!"
আমরা চাই গানের বুকে আগুনের ঘা,
যা শোনামাত্র বীরেরা বলে — "চল রক্ত দেই, হোক প্রভাতটা মুক্তিরা!"
তোর জাতীয় সংগীতে নেই যদি যুদ্ধের গান,
তবে সে সংগীতকে বলি — আজই করো অবসান!
রবিঠাকুরের ঠান্ডা প্রেম দিয়ে নয়,
আমরা চাই গান, যা শত্রুর বুক চিরে হয়।
তাই বলছি ভাই —
তোল নতুন সুর, নতুন আওয়াজ, নতুন পরিচয়,
এই মাটি, এই জাতি, এই ব্যথা — একটাই চয়েস,
জেগে উঠো আজ, গাও এমন গান —
যা শুনে কাপুক শত্রুর আত্মারও ভয়।