১.বঙ্গবন্ধুর স্মরণে


ক.


দেখেনি তোমাকে
আঁকে ছবি দু'চোখ তোমার
সেই ছবিকে মনের চোখ
দেখে বারবার।


খ.


বড় ইচ্ছে হয়
তোমাকে একটু ছুঁয়ে দেখি
তুমি তো সুদূর আকাশের চাঁদ
আমি রয়েছি অনেক নীচে
ওই আকাশের।


গ.


ইস!
আমি যদি তারকা হতাম
তোমার বিকিরণেই আলোকিত থাকতাম
যেতো না আমার চলাচলের পথটা
অন্ধকারে ঢেকে।


ঘ.


তোমার কষ্টের কথা শোনে
শরতের মেঘ কেঁদেছে অনেক
গাছের শুকনো পাতা ঝরছে প্রচুর
দূর আকাশটা থেকে তুমি
তবুও নামোনি
রুদ্ধ রেখেছ দুয়ার।


২. তোমাকে বলছি
ক.
হ্যাঁ
আমি তোমাকেই বলছি
তুমি আসবে আমাদের পৃথিবীতে?
অপেক্ষায় থাকে কৃষকের হাত
জেলে কুলি মজুরের হাত
দেবে তুলে অল্পকিছু দামে শস্যদানা
আর মুখভরা হাসি বিশ্বাস ভরসা।


অযথা আমি কথোপকথন করি কল্পনায়
আর শূন্যতা বুকে আবার ফিরি পৃথিবীর নীচে।


আমি আছি বাতাসের মাঝে রোদের ভেতরে
আর চাঁদ-তারা থেকে দূর থেকে বহু দূরে
আমার কল্পনা মিছে আর মিছে সবকিছু
আমি দেখতেই মনে হয় মানুষের মতো মুখ
অথচ ব্যর্থতা অসফল শব্দগুলো
ভরেছে আমার ডায়েরি পাতায়
দুর্দশায় জরাজীর্ণ আমি আর আমাদের ভাবনা
শোনছ কি তুমি বঙ্গবন্ধু ?


খ.
বলো তো তুমি বঙ্গবন্ধু
কবে আমাদের খোকাখুকু
শুধু কাগজে-কলমে নয়
সত্যি সত্যি একসাথে
সাগর সেঁচে আনবে মুক্তা ঘরে
নারী-পুরুষের বৈষম্যকে ভুলে
আছি সেই অপেক্ষায়
আশিস চাই তোমার বঙ্গবন্ধু।