লাস্যময়ী মদ্য-গ্লাসে নিজের চেহারা দেখে
এ কোন দোসর ভেবে ঈর্ষার আগুনে পুড়ে
ভীতিগ্রস্ত হয়ে ছাড়ে  নিজের নির্মোক।
নিজের পাতানো ফাঁদে ঢুকে পড়ে অসর্তকে
অপবিত্র ধুলো মেখে পবিত্রতার পোশাকে
সেই বারবনিতা যে, ভুলে যায় নিজে।


ভদ্রবেশে বসবাস একাকী জীবন কাটে
সিন্ধুর ঢেউর মতো ভরা-যৌবন উছলে
হাইলছাড়া গরু যে হয় দিকভ্রান্ত।
সর্পিল সরণি বেয়ে মায়বী গরল ঢালে
বিষাক্ত সাপের মতো বারবার ফুঁসে উঠে
ফণা তুলে রূপবান জোছনার গায়ে।


কামুক অন্তর থাকে এতটাই আত্মমগ্ন
নেই কোনো অবকাশ ভেবে দেখবার আর
চেহারায় মাখা আছ কোন রঙ তার।
করে উন্মাতের মতো গেল আকাশের ঠোঁটে
বুঝি বাঁধালোক তার হাত থেকে ছুটে।


প্রেম-সাগরে সাপিনী কত যুবককে নিয়ে
খেলে যায় হাবুডুবু দেখে না বগল তুলে
অথচ গঙ্গার জল করে ঘাটাঘাটি।
আবার বিদ্বেষ তার মরে যায় যেন প্রাণ
গঙ্গার জলকে করে উপযুপরি দূষণ
তাতেও হয় না ক্ষান্ত বিষ্ঠা মেখে ডুবে।


প্রসারিত করো মন পৃথিবীকে দেখো খুলে
সীমানায় বন্দী থেকে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলাতেই
কত করবে বড়াই আমিত্ব নিয়েই।
বিপন্ন বাতাসে শ্বাস পৃথিবীজুড়ে এখন
তাই কুৎসা না রটিয়ে এই তো সুযোগ
প্রদীপ জ্বালিয়ে এসো বাইরে বেরিয়ে।