জয়বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু উচ্চারণ করছি  যখন
অকার্যকর ধমনীগুলো কার্যকর হয়ে উঠছে তখন।
মীরজাফরদের স্মরণে
চোখ দু'টো আমার ঝলসে উঠে রক্তবর্ণে।
বিশ্বাসঘাতকেরা বুলেটে বুকটা ঝাঁঝরা করে
বিজয়ের হাসিতে ফেটে পড়ে।
আর ভাবে হয়েছে তারা জয়ী
বোকা! বঙ্গবন্ধুরা মরে না বঙ্গবন্ধু হয়েছে মৃত্যুঞ্জয়ী।
পিতার নির্মল রক্ত পিচঢালা পথ গড়িয়ে
প্রায় আটশত নদ-নদীতে পড়ে ছড়িয়ে।
তাই দেখি কখনো রক্তবর্ণ নদীর জল
আবার কখনো বয়ে যায় শান্তভাবে কলকল।
রক্তগঙ্গা বইতে দেখে চাঁদও ঢেকেছে লাজে তার মুখ
তবুও শেখ মুজিবুরের বাংলা দেখে পৃথিবীর সুখ।
বাংলাদেশ হয় উঁচু বিশ্বজুড়ে আজ
ঝলমলিয়ে উঠেছে বঙ্গবন্ধুর মাথার তাজ।
পাহাড় -পর্বত ঝর্ণাধারা পশু-পাখি সবুজ প্রকৃতি
সবাই স্বাধীনভাবে করছে স্মরণ শেখ মুজিবুরের স্মৃতি।
ইচ্ছে করে সবার মুখাবয়বে দেখতে বঙ্গবন্ধুর ছবি
তাই ছড়া-কবিতায় শেখ মুজিবের কথা লিখে যায় কবি।


দেখিনি কখনো আমি এরকম জাতি
এ কোন বাঙালি কার ইশারায় হলো পিতৃঘাতী।
ধিক্কার জানাই ছিটাই থু থু তাদের মুখে
আজও ভাবছে যারা স্বাধীনতা দিবে রুখে।


আমি প্রতিদিন একটি ভোরের প্রতিক্ষায় থাকি
আর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের প্রতিকৃতি আঁকি।
ভোর শেষে সকালে হলেই বলবে .....
' এবারের সংগ্রাম ধর্ষণমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার সংগ্রাম,
এবারের সংগ্রাম দূর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশের সংগ্রাম'
সেই আশে জেগে থাকি সহসা হয় না ভোর
দেখি না তো কারো চোখে কিংবা কণ্ঠে সেই জোর