নীল চাঁদের সে রাতে নীলাভ আলোয়
আকাশের অচেতন প্রহরীকে দিয়ে ফাঁকি
ধরার নিষিদ্ধ প্রাচির ডিঙ্গিয়ে
এসে ছুঁয়ে দিয়ে তুলেছিল তটিনীর বুকে
ভালোবাসার উত্তাল ঢেউ...
চোখে ছিল নীলচে আলোর ঝিলিক আর
ঝরেছিল যেন মুক্তো অনর্গল বাক্যশ্রোতে
ও দু-ঠোঁটে। বিস্ময়কর চাহনিতে থেকেছি চেয়েই।
শব্দ যেন অবরোধ করেছিল বাক্যের বিপক্ষে
কিছু বলা হয়নি সেদিন।
আজও শুধু খুঁজে দুটি আঁখি তাকে সারা পৃথিবীর মাঝে।


হয়ত আঁখির ভেতরে আছে আঁখি
ঠোঁটের ভেতরে ঠোঁট। মেলেনি তাই দেখা।
আজ দেখে শুধু দুচোখ স্বপন তার।


শব্দের কারচুপিতে আর ক্রোধীর চোখের জলে
যাচ্ছে ভিজে প্রতিদিনের স্বপন।
এখন শুধুই নির্ঘুম আঁখিতে উথলে উঠছে অপূর্ণ স্বপন।
নীল চাঁদের সে রাত আঁধার রানীর
                       মৃতঠোঁটে মাতাল হাওয়ায় দুলছে।


স্বপ্নরা চৈতন্য ফিরে পেয়ে নীল চাঁদের কামনা ছেড়ে
নেমেছে কলম হাতে  শব্দযুদ্ধে।
দুঃসময়ে মেতে উঠা মাতাল প্রণয় করছে ছিন্নভিন্ন।


তবুও দিনের পর দিন আকাশের মুখোমুখি
অপেক্ষায় রত আর খুঁজে চলে
অসংখ্য চাঁদের চোখে নীল চাঁদের সে রাত।