অনিরাপদের ঝান্ডা উড়ছে নীল দিগন্তে
                    কাঁকলাসের মতো নির্মেক ছেড়ে
ধারণ করছে তারা বহুরূপ
যায় না চেনা যায় না বোঝা
স্বামী বন্ধু বোন কিংবা শিক্ষকেরা কে-বা কার জন্য নিরাপদ?
কে যে কখন হয়ে উঠবে অমানুষ
কে কখন মারবে পুড়িয়ে গৃহবধূ কিংবা আত্মার স্পন্দন
                                                  সেই বন্ধুকে পিটিয়ে
কার রিপু অসংযত হয়েই উঠবে কুকুরের মতো
আবার কখনো সমকামী হয়ে যায় বোধ হারিয়ে তারা নির্বোধ।


ঝোপঝাড়ে জোনাকিরাও দেখায় আলো পথহারা পথিককে
বিনিময় প্রথা নেই তাদের ভেতরে।


এখানে রয়েছে আকাশের নীচে ধরার মাঝে সভ্য মানুষ
তবে আলো নেই কেন তাদের অন্তরে!
                        তারা পৃথিবীতে আসে আলোর প্রদীপ হয়ে
তথাপি রয়েছে তারা প্রদীপ হারিয়ে।


সেই আলোকিত অন্তরকে করে গ্রাস
                                     রাহুর মতোন কোন অমানিশা?
চাঁদ কিংবা সূর্যের গ্রহণ থাকে কিছুক্ষণ
আবার ভরিয়ে দেয় পৃথিবী-আলোয়
                        তবে পৃথিবীর অমানিশা কালানল কেন?
সৃষ্টির উল্লাসে আজ অঝোরে কাঁদে কেন বালিকা!
আকাশের নীচে মনে হয় কেউ নেই নিরাপদ
                        আঁধারের শক্তি আলোর থেকে কি বেশি?
অনিরাপদের ঝান্ডা  মাথার উপরে উড়ছে অদৃশ্য হয়ে
আজ বাতাসের নিশ্বাস আতঙ্কময়।


১৬-১০-২০২০