ক্লান্ত সময় জৈষ্ঠ্যের তাপানলে
ফেলছে কোকিল ভীষণ ঘন শ্বাস
এঁকেছে ঠোঁটের কোনে ক্ষীণ হাসি
সবুজ গোলাপি রূপবতী জামরুল
চিরহরিৎ বৃক্ষের ডালে দোল খায়
হলুদ সবুজ লাল আম
মৌ মৌ ছড়িয়ে সুবাস মারছে উঁকি
রসালো প্রেমে নানান স্বাদ।

নোনতা শরীর জৈষ্ঠ্যের শেষে
কাঁঠালের বনে নাচছে মেয়ে
বৃষ্টিবাদলের গায়ে
মিষ্টস্বাদে কাঁঠাল-কোয়ায় মুখ
ভেজা শরীরে  গিয়েছে চলে।

শাপলা শালুক মেতেছে শ্রাবণ
রোদ বৃষ্টির খেলায়
বিহ্বলতায় উথালপাতাল মন
ভাসছে প্রেমনদী কলমিশাকের মতো
বর্ষার অথই জলে
ঝিরিঝিরি বাতাসে কম্পিত কাশফুল
ঝরে পড়ছে গাছের তলায় শিউলির স্তুপ
মাতোয়ারা বাংলার মাঠ পাকা ধানের গন্ধে।

পিঠাপুলি স্বাদে এক্কাদোক্কা ফেলে
জ্যোৎস্নার প্রহরে মাদুর পেতে
মেতে ওঠেছে গল্প-কাহিনী
সোনারঙ আর কুয়াশা পেরিয়ে ঝরে পড়ে
মুখ ঝুলানো গাছের হলুদ বিবর্ণ পাতা।

কচি কচি সবুজ পাতায় পাখির নাচনে
কুয়াশার আড়মোড়া কেটে জেগে ওঠে
কৃষ্ণচূড়া পলাশ শিমুল আগুন রঙে
ফুলে ফুলে বসন্ত দোলে প্রেম-পিয়াসে
অনুরাগী প্রকৃতির কোলে।