নিঃশব্দ এই অদ্ভুত আমি,
মনে হয়— নীরবতার বুকেই শুয়ে আছি।
বাঁকা চাঁদ যেন অভিমানী প্রিয়া,
আলোর পোশাক খুলে বসে আছে একা।
নেই কোনো প্রতিশ্রুতি, নেই কোনো স্বপ্ন—
তবুও মাঝরাতে মন উড়ে যায়,
অজানা কোনো রাজপথ ধরে
চেনা এক মায়াবতী রাজকন্যার কাছে।

মনে পড়ে সেই মধুর দিন,
যেন বসন্তের প্রথম কুঁড়ি—
তোমাকে খুব মনে পড়ে, মায়াবিনী,
তুমি যে আমার হৃদয়-বীণার নীল নুপুরধ্বনি।

তুমি ছাড়া আমি যেন আকাশছোঁয়া শূন্য
একটি পাতা ছাড়া গাছ,
একটি নদী— যে তার উৎস হারিয়েছে।
তবুও নিরবতার ছায়ায় এই পাগল মন
খোঁজে তোমার চন্দ্রমুখ।

খোঁজে তোমার মধুময় কণ্ঠ,
যেন বাঁশির সুরে মেশা সন্ধ্যার কবিতা।
খোঁজে তোমার হরিণ-চোখ,
যা অনায়াসেই হারিয়ে দেয় হাজারো ব্যথা।
খোঁজে তোমার এলোকেশ চুল,
যেন ঝরে পড়া কালো মেঘের ধারা।
খোঁজে তোমার মেহেদি-রাঙা হাত,
যেখানে আঁকা থাকে আমার নামের গোপন অক্ষর।

মায়াবতী, ও মায়াবতী—
তুমি কি আমায় ভালোবাসো?
নাকি ভালোবাসার ব্যাকরণে আমি নেই?

কি জানি—
হয়তো ভালোবাসো, কিংবা ভালোবাসো না,
হয়তো তোমার চোখে জ্বলছে কারো অন্য স্বপ্ন,
নতুবা তোমার হৃদয়বীণায় বাজে ভিন্ন কোনো সুর।