আমি কি পালিয় যাবো প্রভু?
আমি তো চিনিনা ভিন্ন কোন পথ
জন্ম আর মৃত্যুর এই মধ্য সময়;
আমি কি সমস্তই জীবনের দাস?


আনন্দ আর পাপের ভিতর,
বিরোধ আর পূণ্যের কাছ থেকে
আমি কি পালিয়ে যাবো প্রভু?
আমার দিকে সহস্র তীর মারো
এফোঁড় ওফোঁড় করে দাও;
পায়ের নিচ থেকে কেড়ে নাও পথ
আমি পালিয়ে যাবোনা কোথাও-----


কিইবা দিতে পারি আর তোমারে
আমিতো কুমার তুমিই তা ভালো জানো
কৌমার্য ভাঙেনা কভু প্রভুর স্পর্শ ব্যতিরেক
যত সহস্র বার করুক মৈথুন, রতিবেগ।
তুলে দিতে পারি সদা টলায়মান
কৌমার্য আমার তোমার তীরের ঠগায়,
আমার দিকে সহস্র তীর মারো
প্রভুর স্পর্শ ছাড়া মুছেনা দাসের কলঙ্ক ;
আমাকে ছুঁয়ে দাও তোমার তীরের ফলায়
যেমন তর জননী চুম্বন আঁকে পুত্রের গলায়
মুছে যাক কৌমার্য কলঙ্ক দাগ
এই গোপন মহিমা আমার।


আমি নগ্ন আগাগোড়া সদা সম্মুখে তোমার,
লুকোছাপ কিছুই নাই হৃদয় ছাড়া
হৃদয়ের নিয়ন্ত্রনে কেন রাখলে দাসেরে
তাই তোমারে বলি প্রভু হৃদয়ে দায়ে
অভিসাপ দিয়োনা অবলা দাসে এই
তবুও যদি ছোড়ো তীর অভিসাপ মেখে
আমি জানি কার্যকর হবে শতভাগ নিশ্চই
যেহেতু তোমার হাতেই এর কার্যকর ভার
আমার দিকে সহস্র তীর মারো
তোমার অভিসাপ বানে আমি পুড়ে হই ছাড়খার,
তবু এ মিনতি আমার,
হৃদয়ের দায়ে শাস্তি দিয়োনা প্রভু
আমি তো জানিনা হৃদয়ের মালিকানা কার,
তোমার না আমার?