গহন দ্বীপবাসী যেটুকুন ভাবে তার
নিজ দুনিয়া;জ্ঞানের বাহিরে যেমন
থাকেনা খোয়াব দেখার সুযোগ
যদিও মানুষ দেখে বিবিধ স্বপন।
সরু তরুলতা আকসিতে টেনে রাখে
নিজ ভার;ফলের সুগোল নিয়ে
বেড়ে ওঠে তার সরল অভিপ্রায়।


আম্মা নিজেকেই তুলে নিয়ে যায়
নিজ সামর্থ্যের চেয়ে বেশি এমন অভিপ্রায়ে।
তার সরল সামর্থ্য থেকে
বের হয় চকচকে সুগোল আনাজ ----
নিজের দরদ টুকু নিংরে দিয়ে
ঢেলে দেন পাতে স্বাদু আনাজের ঝোল
আম্মার হায়াত সমান ভাত
বেড়ে দেন আমার পাতে।


মানতের বকরির ছেড়ে যাওয়া পথে
চলে যায় কালো চিলের শিস;
আমার শতেক মুসকিল অবসার ছাড়া
দণ্ড কাল ফুরসত বুঝি নাই আর তার।
ফুঁয়ের বাতাস থেকে নরম বায়ু
দোয়ার উছিলায় উড়ে আসে আমার দিকে
তার বিশ্বাসের পারদে বাড়ে আমার পরমায়ু---
মউয়তের ফেরাস্ততার সমান আয়ু যদি
পাওয়া যায়;এমন বেহিসাবি মুনাজাতে
খোদার ফেরেস্তারাও কি পড়েনা দ্বিধায়।


আমিও কি থাকি না দ্বিধায় আর
নিজেকে ভাবি --- মাতৃগাছের ছায়া থেকে
বের হতে চাওয়া এক চারা গাছ।
আদতে যতটা আসমান আর যতটা মাটি
আমি কি পারি তার ব্যাস পরিমাপ
চাঁদ আর রোদ --- দিন আর জ্যোস্নার
দ্বৈত ভূমিকায় আবর্তমান এক গ্রহ
আমাকে টানে তার অভিকর্ষের দিকে ----


নিয়মে চুরমার হতে হতে ক্ষয়ে যায়
সোনার পাথর;তবু তার উজ্জল আভা
সরিয়ে রাখে দুনিয়ার গাঢ়ো অন্ধকার ----
আর আম্মার সামনে এসে দাড়ালে
এই সব দুনিয়াদারি আড়াল হয়ে যায়
অথবা আম্মা নিজেই এক দুনিয়াদারি!