ক্লান্ত পাশ বালিশে আহত রাত ঘুম,
মৃত্যু আনন্দে উবে যায় ভোর
যেন এক মেঘ রেখে গেছে
চিত্রল হরিণীর কস্তুরি সুবাস ;
করতলে গুচ্ছ ফুলের জীবন
পাতার আড়ালে আরেকটি ফুল
পথিকের নজর পড়েনি আর,
শাইল ধানের হিম স্বেদ -----
যেন তার বিবাহ কাল
মরম অনুভব  থেকে দোলে তার
নবারুণ সৌন্দর্য আধার;
হাতের ওপারে অনন্ত অগ্রহায়ণ,
হাসের পায়ে হাঁটা পথে
অশ্রুত রাগে বিচ্ছিন্ন সন্ধ্যা বাজে।
চিকিৎসা সিমান্ত রেখা হতে
সমান দূরত্বে দাড়িয়ে লাঙলের ফাল;
ভূমি যতটা দূরে সরে যাচ্ছে
সরে যাচ্ছে ক্রমশ
মাতামহের হালের বলদ।
জমির আলে বাদ-আসর
চলে যাচ্ছে গহন পথে আত্বাহিয়াতু স্বর,
এভাবেই যেতে হয় নদীর পুকুর!
অন্ধকার থেকে পুরোনো বাড়ির মাঠে
জম্ন থেকে কাছারি ঘরের দিকে
চৌহদ্দির তাবু ------ ছড়ানো উঠোন
দক্ষিণ ঘরের ফজলি আমের ডালে
কে বাজায় পল্লী গীতির সুর.....


"বন্ধু তুমি মোরে ভুলিয়া যাইয়ো
কি হবে আর রাখিয়া মনে
আমি তো ডুবেছি অকুলে"........


যেন মেজবানি দাওয়াতের শোর
থেমে আছে জালালি কইতরে খোপে
দালান বাড়ির পোস্তা ঘুমায় বেঘোর;
একটি চুমুর দূরত্বে দাড়িয়ে
নিবিষ্ট নতুন কালভার্ট
আলগোছে উড়ে তার চুল
বসে আছে লাল টর্চের ফ্রোক
যেন প্রতিটি বিকেল কোলে নিয়ে
ঘরে ফেরে ফুফু আম্মার গিন্নী মোরগ।
সাহাদাত আঙুল ভোরের দিকে
খয়রি চাদরে জায়নামাজের আঘ্রান
এক সত্য বাক্য সাধে মাতামহী ঠোঁট
ফাবিআইয়ি আ-লাই রাব্বিকুমা-তুকাযযিবা-ন।