জলের মাঝে তুমি শিতল পাথর
প্রজন্মান্তর ধরে,
শুয়ে আছো কালো আদম সুরতে;
আদিম স্লেটের  মত মানুষের
প্রশান্ত আদল তোমার,
প্রাগ-প্রেমিকারা
কাঠালি চাঁপার মৌতাত মেখে
বসে আছে কালো প্রজাপতির মত।
তোমার ঠোঁটের নিচে বিরল প্রশান্তি,
ছদ্ম নামের ভেতর লুকানো আলেখ্য নাম
জাম রং বীজ তুমি পিতার পরম্পরায়
তোমার ভিতরের এই শীতলতা
দীর্ঘায়ু বৃক্ষের কোঠরে কোঠরে
অমীমাংসিত রাত,
তোমাকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে এই বন,
পাতার জঠরে মর্মরিত হ্রেসা;
সুন্দর পোষাক পড়া উলঙ্গ টেরাকোটা
নারীদের কমলা লেবু ঘ্রাণ-বৃন্ত থেকে
হাওয়ায় ছড়ায় অভিন্ন কথার জ্ঞান;
নিগুঢ়ো পবিত্র সওগাত যেন
প্রজন্মান্তর ধরে
বিমূর্ত গান গায় বকুল রমণী,
অনাঘ্রাত আনন্দ বাজুতে বেধে
মহুয়া মাতাল প্রেমিকার মত
চৈতালি রাত হেলানো বৃক্ষ তলে
নিদ্রা প্রপাত ছড়ায়,
গেথে গেছে প্রতিটি রাত পারম্পর্য যুবকেরা
সেলাইয়ের সৌন্দর্য শেখার আগে
তোমাদের রমণীরা শেকরে বাধে
মনহর শুশ্রূষা ;
ব্যাধ-চারি ভাই শেখে তীরের টঙ্কার
হরণীর বুকে ছোড়ে এন্টিক বুমেরাং।