ঘরের অধিক তুমি তুলেছো যে দ্বার
অসুখের চেয়ে বেশি দাওয়া গুরুতর
হাড়ের গভিরে যত ক্ষত রক্ত নিলাভ
তৃষ্ণার ঠোঁটেতে হেমলক পাপতাপ
ধরণির থাকে দেশ জঙ্গযখ কাঁটা
অমৃত টানো তুমি গরলে নিলকন্ঠা
বায়ুর মায়া টানে, ফেরে চতুুর চিতা
হরণীর খুড়ে ওঠে সহসা ক্ষিপ্রতা।


নাভিতে পাকে যদিবা কস্তুরী মৌতাত
তূণের খাপে খাপে তীরের আতাত
চতুর বৈয়াকরণের আদব কেতা
শব্দ চাতুর্যময় ভাষা বিমুখতা
ধানে পানে কন্যা পুতে সহিসালামতে
আমিষ তিতা মিঠে ওঠে যেন পাতে।


কৈয়ের কানকো টানে হাওড়ের পাড়
উজানে আইসো পোনা ভাটির ওপার
তোমারে রেখেছে বেধে ঋজু বেড়িবাঁধ
ঋতুতে ঋতুতে বাড়ে বেনী ছোঁয়া কাঁধ
যুতসই শব্দজটে যতি সেমিকোলন
জামার ভিতরে তুমি বাহিরে ছলন
মানে মানে কেটো পড়ো শরীর ছানা
নিষাদের পয়মন্ত হাতে ধনুক ফনা।


নতুন চরের ভূমে সিকস্তি জোয়ার
যেটুকু দেখনদারি আর নিরাকার
হাইলার লহু চিরে আপন লাঙ্গল
রোপে বপে দেহ বীজ তমিজ আঙুল
পরচার দাগে ভাগে বহু পরগণা
দাসখতে লিখে পাপী মাসুম বেগুনা।


জানে মানে সালামতে রাখো গৃহস্বামী
চালার কোনাচ বাঁধে সেয়ানা ঘরামি
কার ঘরে বিরাজ করে লালনে পালনে
সিরাজের কইতর দূরে উড়ে বনে
ছুঁতমার্গ দুই দল, ডান বাম হস্তে
অনুভূতি কাটো গলা খোদা কি ওয়াস্তে
নগরের দ্বারে ঘুরে বোবা প্রজাকুল
রাজার পোষাক নাই তুমি কি বেভুল।


রক্তের দাগে মিশে নদী,ঘাতে অপঘাতে
ফুরালো দুটি তীর চর মোনাজাতে
পাশার চক্রনাভে রাজাও ফকির
খোদাও পড়ে নবীর যুগল জিকির
সোনা সোনা অগুনতি তাসের সাফল
ছায়ার ভিতর ছায়া কায়া মিরাকল।