কোথাও থেমে আছে প্রায় অন্ধ নিম,
আর তারাদের গন্ধে নেচে গেল
কমলা মেয়েটির ফ্রক;কিছু দূরত্ব রেখে
চলে গেছে বাতাসের ভান,
অস্তমন তারাদের দিকে বৃদ্ধ নাবিকের চোখ,
মৃত্যু তুমি পথের এপার ওপার
বাকিটা মৌন-লোক ;
ধ্যান ভেঙে গেলে মাস্তুলের বৃক্ষ নর ও নারী
চিনে নাও তার অন্তর্গত দ্বন্দ্ব বিভেদ;
কাঁটা কোন পথে বিধে ছিল?
কদমের নিচে বয়ে গেছে কতটা বয়স ভার
চুম্বন শেষে গড়ায়ে গেছে কত
আনি আনি পয়সার মুখ,
রুদ্ধ হ্রেষা থেকে বেরিয়ে পরা
সহিসের চাবুক সুখ
কোন দিকে চলে যায়----
ঘুঙুর আর মাদল ঘন রাতে
চোখে চোখ রেখে গান বাধে অন্ধ পাগল
অদূর গোলঘর মক্তবে
শতকিয়া জানা শিশুরা
বসে আছে ভোরের মুয়াজ্জিন বেশে
সমস্ত শিত বস্ত্র কার্পাসে নীল হলে আকন্ঠ,
ঘোড়ার শব্দের চেয়ে দূরতম শীতঋতু নিয়ে
ছুটে আসে মঙ্গলিয় তীরের টংকার
মনোলোভা আপেলের লোভে
দূর ধির পায়ে হেটে গেল কার
গম রঙা জামা
একশ মরিচিকা ডিঙিয়ে
আকাশের মার্জিনে মুছে যায়
তার অনল তর্জমা
চলে যায় পুত্রের হাত ধরে নাবালক পিতা
যেন কোনো কালে উঠেনি কারো কোলে
খুব গোলমেলে ভিড়ে  চেয়ে থাকে তার
গামলা ভর্তি ক্ষুধা
ভাতের চেয়ে ইশ্বর বেশিদূর নয়
কি এক পাগলের ক্ষুধা হয় আছে সমস্ত মাঠ
যেন ভাতের বলক ফোটার শব্দে
ভেঙে যায় ঘুমন্ত শিশুর সুগোল খোয়াব
কার বুকে লাগে কার সকৃৎ পাপ।