১.*
দুনিয়ার হাটে কত মানুষ সওদা করে
গায়েপিঠে ঠেলাঠেলি লাগে
তবুও কেউ কাউরে চেনাচিনি নাই
তুমিও কি দিয়া ছিলে নাকি ---
মৃদু কোন টোকা
আমি বেমালুম হইয়া চইলা গেছি ভ্রমে
আর পইরা আছি মহাধুলাকাশের নিচে
লোভ দিলা --- বড় লোভ
ডর দিলা আরো বড় -----
বেহেস্ত ---- নরক!
কিরামান কাতিবীন দিলা
তাদেরও তো চিনাইলা না
তোমারে ক্যামনে চিনি গো মাবুদ?
২.*
তুমি ক্যান চাইয়া আছো দূরে
ঘুরে ঘুরে কারে খুঁজো আর ---
পারলে তাকাও হৃদ-কুহরে
শান্ত আলোটুকু যদি পাও
ফুঁ দিয়া দ্যাখো ---
নিভাতে পার কিনা নিজেরে।
৩.*
ছিল তূর।আমি কি যাইতে পারি অত দূর
আমার বুকেতে মারো আলিফের নূর
হবো ছাই। ছাই-ও তো হইতে পারি নাই
বুকেতে উহুদ। কই পাই মিমের মকসুদ।
৪.*
জানো-তো রক্তের কনা দেহ থেকে দেহে বয়ে যায়
জনশ্রুত মতে গোত্র সমুহে থাকে রক্তের টান
পালের বকরি শাবক কি করে চিনে মাতৃ-ওলান
কি এমন চৌম্বক, ধাতব অনু গুলি টেনে রাখে
কোন ইংগিতে খুলে যায় জঠরের গিট
যেনে রাখো তুমি আমি মুদ্রার এ পিঠ ও পিঠ।
৫.*
আমাকে বলতে দাও গোপন কথা গুলা
তাতে তুমি যদি ভয় পাও, তবুও বলতে দাও
হরিণের যদি না থাকে বাঘের ভয়
তবে তার  হরিণ জীবন বৃথা
ভয়টা আড়াই হাত পিছনে রাইখা
ঝাড়া মারে গায় --- তবু বাঘটা (মনে) থেকে যায়।
৬.*
কিছু গোপন তো মানুষের লগে কবরস্থ হয়
মানুষ স্মৃতির জঠরে আমৃত পালে তারে
আপন বলে কাকে দিবে -- কে এমন আমানত দার
একা একা বয়ে যাও গোপন বস্তুভার ----
৭.
তোমারে দেখতে পাই আমার সরূপে
বইসা আছো আমার একাকিত্ব জুড়ে।
ফিরে ফিরে আসো নানান মানুষ রূপে
তোমারে পাইছি আমার নিদান কালে
তোমারে পাইছি আমার অন্তর অন্তস্তলে
প্রিয় সুহৃদ তুমি কি বান্ধব -- নাকি মানুষ আগে?
সখা হইলে কি আর মানুষ হওয়া লাগে ----