কেনোই বা দূরে চলে যাও
চৈতালি ঘোড়ার সওয়ারীর দল
বিস্তৃত আলখাল্লায় ----নাড়িয়ে
শাখা পত্র সমেত সৈন্য সারি,


শস্যের সহস্র  নকশা কাটা মাঠ থেকে
গবাদিপশু পাল ঘাসের ময়ান
ত্বকের বয়ামে ভরে
কমলা রঙের রোদের রশি ছিড়ে
-----ধীরে মিলিয়ে যায়
রাখালের লাল আলোয়ান


যেন সেই ঘোড়ার খুড়ের আঘাতে
নৈঃশব্দ ভেদ করে ফোটে
একটি আসমানি প্রদীপ
সিফন শাড়ীর জমিনে তন্দ্রা-গোলাপ
------মৃদু শেজবাতি
কাঁপে কারো সহজ হাতে,


কেউ প্রতি দিন রেখে যায়
কস্তুরি সুবাস
প্রতিটি কথার পিঠাপিঠি উচ্চারনে,
তার পরতে পরতে নিবিড় পরাগ
পাপড়ির ওমে ভ্রমর বিলাপ
প্রেমিকের পাখায় পাঠায় গোপন চিঠি,


-----একটি পাখির ভিতর
-----বহুবিধ কথার পাখি
পাতার আড়ালে আরেক ছোট পাতা
যেন ডাকহরকরার পকেট থেকে রোজ
পৌছায় কথার চৌকোণ সন্ধি-অভিসন্ধি


কে দাড়ায় পথে দয়াময় পথিকের টানে
রূপোর ঝালর টেনে কে বাজায় বিনোদ বাতাস
পানসীর ধ্যান থেকে খুলে যায় হাওয়ার
মাস্তুল
নদীর ওপারে সেই হাওয়ার শহর
কে বাজায় ঘুমের বাঁশী;


সুললিত স্বরের এই মহর্ষি সুর
কেবলই ফিরে আসে দেবদারু তীরে
কেনই বা তবে দূরে চলে যাও
লৌকিক নাবিকের জাহাজ মাস্তুল।