১.
হে দীপ্তকারীনি, জ্ঞাণমাতা,
তোমাকে সালাম।
তোমাকে প্রণাম।
কাল ভেদে,আজো আলো শিখা হস্তে
দাঁড়িয়ে তুমি জল স্রোতস্বতী বুড়িগঙ্গার তটে।
লক্ষ-কোটি আলোকরশ্মি তোমার দান,
হে আমার আলোক সঞ্চারিনী,জ্ঞাণমাতা।
তোমাকে সালাম।
তোমাকে প্রণাম।
হে জ্ঞাণমাতা, তুমি নও গর্ভধারিনী,
তুমি নও দুগ্ধদানকারীনি দুগ্ধমাতা।
তোমার অক্ষর শর্ষ্যে বাঁচাও হাজার প্রাণ।
তুমি মাতা,স্নেহে আঁচলে আজও সহস্র-কোটি
সন্তান-সন্তানি,
জানাই,
তোমাকে সালাম।
তোমাকে প্রাণাম।


২.
আমার চোখের কর্নিয়া ভেতর জ্বল জ্বল আলোটুকু
একযুগে পাথর ছিলো, পাথর ঘষে ঘষে নক্ষত্র
গড়ে ছিলে তুমি, নক্ষত্রের আলোতেই আমার পথচলা।
আলোকিত আমার পৃথিবী।
আমার মস্তিষ্কে খোলসার ভেতর বিবেক অঙ্কুর
অস্ফুটিত ছিলো, তুমি ফুটিয়ে ছিলে সহচর্যে।
তোমার বিদ্যা বায়ু আর জলে ঝাঁকড়া যৌবনা।
তুমি আমার হাতে যে বখতিয়ারে তলোয়ার দিয়েছি।
আমি যুদ্ধ করি,অসভ্যতার সাথে,আমি যুদ্ধ করি
আমার অনাধিকার শৃংখল কাঁটি।
প্রতিনিয়ত  অন্ধকার কাঁটি।