আয় না তুই বুকের ভেতর
দেখে যা
কত্ত রকম আগুন জ্বলে।
লাল,হলুদ, বেগুনী। নীল।
দেখবি আমি,ক্যামনে  পুড়ি।
ক্যামন করে তোর শোকে, সুখ করি।
আয় না তুই,বুকের ভেতর
দেখে যা
তোর ভালোবাসায় গাছ হয়েছে
বিশাল গাছ।ফুল ফুটছে নীল নীল বেদনা
মালা গাঁথি তোর জন্য
খোপায় পড়াবো। মধু চন্ডিমায়  মুঠি ভরে দেবো।
আয় না রে তুই বুকের ভেতর।
দেখে যা
আমার দুটি ঝরণা আছে
তোর জন্য কাঁদে।দিন রাত কাঁদে।
আমার ইচ্ছেরা তিয়াস মিটায় তোর  ঝরণার জলে।
দেখ উঠান আমার, সকালে কাঁচা রোদ্দু পরে।
তোর গতরের মতো হলুদ। শীতে গ্রীষ্মে ক্যামনে জ্বলে মরি।
সন্ধ্যে বেলা জোছনা নামে, নীল জোছনা।
জোছনায় ভিজে আমি কাঁদি, আমরা কাঁদি।
আয় না তুই বুকের ভেতর
নীল কুটিরে।নীল নীল সব
দেখে যা ক্যামন করে, লালন করি তোরে
দেখ তোর পায়ের ছাপ। আলতা লাগা ঘরের ওটা
সময়ের হেলায় ক্ষয়া ইটের ভাঁজে তোর ইতিহাস
ঐ যে, এক ফ্রেমে তুই আমি দুজন ছিলেম,
তুই মুছে গেলি,আমি ঝুলে আছি।
আয় তুই ঝড়ের মতো
তুমুল ঝড়।লন্ড ভন্ড করে দে, আমার পৃথিবী।