মুক্ত উড়ছে এক প্রজাপতি
এলোবুঝি নিয়ে স্বর বানী,
সুরেলা স্বর উজার করে
নিরসম করাতে মাতামাতি।


ঘুমঘুম চোখে খালি বাজে
শ্রাবণ ঝরা আঁধার রাতে,
ডাহুক নচেৎ পান কৌরির
বিরাম হীন কান্না কাটি।


অনুভূতিতে লাগে মধুর শ্রুতি
দেখায় মতি হয়ে বিহঙ্গীনি,
করবী যূথীর পরশে বাড়ায় কদম
দুনিয়াকে সাজিয়ে ফোটাতে কদম্বতল।


প্রাণ খুলে মৌণ হাসিতে
ঢালছে সুভাষ সম চন্দন,
তাকে দেখলে উৎকন্ঠা ছাড়ে
লাগে হৃদে উদ্দিপনার শিহরণ।


অপরূপ রূপে সেজেছে আজি
দৃষ্টায়নে সকলের মূহুর্তে কাড়ি,
আঁচল মেলি ঘুরে ফিরে
সে যেন এক ডানাহীন পরী।


কোকিলেরা কভু গান ভুলিলে
ছন্দে সর্ব মনে আনন্দ জাগাবে,
ঝরাপাতা শ্রীহীন হলে ঋতুরাজে
বাসন্তী পাড়ে সেই প্রকৃতি শোভাবে।


উষ্ণ নিহারিকায় গালাবে নিহার
আঁখিতে ভরা এঁকেছে দীপাগার,
দিপনেভা সন্ধ্যায় জ্বালায় দীপালী
দীপন করবে ধরণী দিয়ে স্মিতহাসি।


মায়া মমতার সন্ধানে পাড়ি দেই তিমির তিথি
দুঃখ শোকে ভুলতে চলি হয়ে স্বপ্নযাত্রী,
তুমি রায়া যেন সম অপ্সরা
শুভ্র ছোঁয়া লাভে জাগাই অন্তরা।  
১৮-০৬-২০০৮
বি দ্র ...সংশোধীত মুদ্রণ


-হায়দার
প্যারিস,ফ্রাঞ্চ
০৯-০৩-২০১০