অনুভবে বিচরণ
-চৌধুরী রেজাউল হায়দার।


ধুলোর কুহেলিতে ঘূর্ণিত হয়ে
পাক খায় দিগন্তরেখা কম্পনে
বেড়েযায় হৃদয়ে পীত আরক্ত মত্ততা
একটা অজানা স্পন্দনে,
বনস্পতির লাল সবুজেরা
মাতায় দুনিয়া তামাসায় হৈচৈ রঙ্গে
তৃষ্ণার জল হয়ে ভরায় গ্রীষ্মের গুমর
কবিতা-ই থৈথৈ ঢঙ্গে।


বর্ষণ বারিধারা জমায় রাশিরাশি জলে
পুষ্পেরা শ্যামল বনতল
আশার কুহুকে সঞ্চর বেদুইন
মুক্ত প্রবাহবহে ঝরা বানের জল,
ধূসর মরু পথ ভুলিছে পথিক
শুধু রয় অপেক্ষা দুস্তর পারাবার
অকালে বিদর্ভ পারাপারে
কবিতা-ই করে প্রাণ চঞ্চল মত ঝর্ণার।


মাঝরাতে স্নান শেষে
ভেজা টাওয়েল ধরে রাখে সুখবিন্দু অস্থির
শিশির শব্দে কর্ণে বাজে বীন
প্রিয়ার সান্নিধ্য পেতে অগ্রহ অধির,
কেশবতীর নিটোল মনে
লুকানো সু্প্তবীজ সমান ছলছল স্বপ্নঢেউ
দৈব-দহনে ভাঙ্গেবুক খোলেনা মুখ
কবিতা-ই থাকে হয়ে সঙ্গীকেউ।


বেনারশী আঁচল মেলে উড়ে বেড়ালে
শুভ্র মেঘের মত পূর্ণিমায়
উড়ন্ত কেশের স্নিগ্ধতায় মায়ামুগ্ধ
এক ফালি চাঁদ মলিন জোত্স্নায়,
চোখের তারায় বাসনা লালন
ছলছল হোকস্থির বিকশিত ফাগুনী
ঘুমন্ত শহরে গভীর কালোয়
কবিতা-ই ঝিমিয়ে রাখে বুঝি রজনী।


মুক্ত গগনে সাদার সমারোহে
ভোরের ময়ুরীদলে নাচায় আকাশ
পক্ষিকুল কোলাহল কলতানে
ছন্দ তরঙ্গে মাতায় উদাসী বাতাস,
অস্তরাগের বেদনায় নিঃশব্দ ক্ষরণ
করে কণ্ঠকাকির্ণ তালে তাল বুনন
বৃষ্টি থামা সন্ধ্যায়
গুনগুনে মনের দুর্গম গিরিতে জোনাক প্রানপণ
-------------------------- কবিতাতে-ই জ্বালায় সাচ্ছন্দের আগুন।


============================================================
অনুভবে বিচরণ


ধুলোর কুহেলিতে ঘূর্ণিত হয়ে পাক খায় দিগন্তরেখা কম্পনে
বেড়েযায় হৃদয়ে পীত আরক্ত মত্ততা একটা অজানা স্পন্দনে,
বনস্পতির লাল সবুজেরা মাতায় দুনিয়া তামাসায় হৈচৈ রঙ্গে
তৃষ্ণার জল হয়ে ভরায় গ্রীষ্মের গুমর কবিতা-ই থৈথৈ ঢঙ্গে।


বর্ষণ বারিধারা জমায় রাশিরাশি জলে পুষ্পেরা শ্যামল বনতল
আশার কুহুকে সঞ্চর বেদুইন মুক্ত প্রবাহবহে ঝরা বানের জল,
ধূসর মরু পথ ভুলিছে পথিক শুধু রয় অপেক্ষা দুস্তর পারাবার
অকালে বিদর্ভ পারাপারে কবিতা-ই করে প্রাণ চঞ্চল মত ঝর্ণার।


মাঝরাতে স্নান শেষে ভেজা টাওয়েল ধরে রাখে সুখবিন্দু অস্থির
শিশির শব্দে কর্ণে বাজে বীন প্রিয়ার সান্নিধ্য পেতে অগ্রহ অধির,
কেশবতীর নিটোল মনে লুকানো সু্প্তবীজ সমান ছলছল স্বপ্নঢেউ
দৈব-দহনে ভাঙ্গেবুক খোলেনা মুখ কবিতা-ই থাকে হয়ে সঙ্গীকেউ।


বেনারশী আঁচল মেলে উড়ে বেড়ালে শুভ্র মেঘের মত পূর্ণিমায়
উড়ন্ত কেশের স্নিগ্ধতায় মায়ামুগ্ধ একফালি চাঁদ মলিন জোত্স্নায়,
চোখের তারায় বাসনা লালন ছলছল হোকস্থির বিকশিত ফাগুনী
ঘুমন্ত শহরে গভীর কালোয় কবিতা-ই ঝিমিয়ে রাখেবুঝি রজনী।


মুক্ত গগনে সাদার সমারোহে ভোরের ময়ুরীদলে নাচায় আকাশ
পক্ষিকুল কোলাহল কলতানে ছন্দ তরঙ্গে মাতায় উদাসী বাতাস,
অস্তরাগের বেদনায় নিঃশব্দ ক্ষরণকরে কণ্ঠকাকির্ণ তালেতাল বুনন
বৃষ্টি থামা সন্ধ্যায় গুনগুনে মনের দুর্গম গিরিতে জোনাক প্রানপণ
-------------------------- কবিতাতে-ই জ্বালায় সাচ্ছন্দের আগুন।
(১০-০৬-২০০৮)


-হায়দার
প্যারিস,ফ্রান্স
১০-০৩-২০১০


*কোন জায়গাটা অসুন্দর হল জানাবেন,প্লিজ।ভুলে ভরা লিখাটা ভালো লাগেনিতো?
কোন ভার্সনটা চলার মত বলে মনে হয় ?