অপেক্ষার পালা
চৌধুরী রেজাউল হায়দার

অনন্য রাত্রিতে ঘুমের ঘোরে জেঁগে কেঁদে উঠি এক দুঃস্বপ্নে
শঙ্কিত হৃদয়ে স্নিগ্ধছোঁয়া খুঁজি আবছায়া ঢাকা চন্দ্রিমার বুকে,
আলো আঁধারের যবনিকায় মাটির প্রদীপ কম্পনে রয় অস্থির
ডাহুক কিংবা পান কৌড়ির আর্তনাদে ভেঙ্গে বুক হয় চৌচির।


ধূসর সময়ে নিশি রাত্রে জল্পনায় আঁকা বাড়ে মায়াবি ছবি
তন্দ্রা হারানোর ব্যথাটা উপসমে আছে কি কোন চন্দ্রমূখী,
ভাবনা পরিচ্যুত ত্রোপোমান প্রাতকলি
নিরুদ্যোমে মলিন্য হয়ে হয় উদাসী
কামনার বহ্নি রবি দীপ্তি অপলকে
শীতল প্রভাহে ভেজাবে তৃষ্ণিত স্বপ্নটি।


ঊষা লগনে কোকিলের কুহুতানে মেলিয়ে আঁখি খুঁজি শান্তি
হয়তোবা দিবসটি কাটিবে মায়া ভরা ছায়ায় নিষ্পাপ আজি,
এ যেন একটি হাহাকারি চাওয়া পাওয়ার পরিপূর্ণতার আর্জি
কলিকা কোরক প্রত্যাশায় নন্দন কাননে ব্যাতিব্যস্ত রয় বনমালী।


গাছের ছায়ায় লতায় জড়িয়ে কত বার হল পড়া হুমড়ি খেয়ে
শুকনো পাতার মর্মর ধ্বনি আদরে তুলেনা ঝংকার কর্ণ কুহরে,  
ইচ্ছে করে মন দূয়ার পরশে নাড়াতে ঘুঘুরা বুঝি আসতো এগিয়ে
ছড়িয়ে বিছাবে আদর বাসন্তী কিংবা লাল সাদা রাঙ্গা আঁচলে।

সতৃষ্ণ হৃদয়ে দিনভর চেয়ে থাকি ভাবনার গল্পরা শান্তি দেবে
আসবে বৈ কল্প দেবীর শীতল কলস থেকে আলতা রাঙ্গা পায়ে,
নুপুরের রিমঝিম শব্দরা তরঙ্গ ঝড় তুলে কি ব্যাথার দরিয়ায়
জড়াবে লাল নীল বহু রেশমী বাঁধা কোমল দুটি হাতের শাখায়!


রৌদ্রের পোড়া মাটির নিকটবর্তী অসহ্য জ্বলে বিরহি  অন্তরে
শ্রেনী বৈষম্যের কষাঘাতে জর্জড়িত বৈচিত্ত্য খাটুনি ক্লান্ত মনে,
নিস্তেজ দেহে মুহুর্তে আসবে প্রাণের সঞ্চার পেলে স্মিত হাসি
নতুবা মসৃণ ঠোঁট যুগলের ভাঁজের এক বিন্দু টকটকে লালচি।


রূপের প্রদীপ ঝড়ো হাওয়ায় আঁচল পাড়ে অপলক দৃষ্টি সৃষ্টিতে
হলুদ বেগুনীর সংশ্রবে কল্পদেবীরা করে উম্মাদনা মৃদুমৃদু হেসে
মায়াবি মলিন চপলে টানাটানা চোখে লাজুক লাজুক ভাব দেখে
বিমূর্ত রাত্রিতে নিশাচরের কোলাহলে প্রশান্তি চায় ফিরে পেতে।


আবেগের ভেজা ভেজা হৃদয়রা মাঝ থেকে করায় গুনিয়ে
শুধু মুঠো মুঠো সুখের অপেক্ষার পালা
একাকী নিঝুম রাত্রিতে
........কামনার এক ফালি চাঁদের আলিঙ্গনের।
২৯-০৫-২০০৮


-হায়দার
প্যারিস,ফ্রাঞ্চ
২৮-০৪-২০১০