অবাক ধরণী বিচিত্র চিত্রণ
বেড়াই খুঁজে সুখের আলিঙ্গন
শত ভাবনায় ভরা ছিল দিনের শুরুটা
পাড়ি যাব ধুলোয় মাখা স্বপ্ন তরী।


অন্তর বাগ শুধু কেঁপে কেঁপে ওঠে…
দুকদুপানি ভেসে এলো আত্মার ভেতর,
হবে যেতে কাটিয়ে পুরোটা সময়
রান্না বান্নার কাজেতে হবে হতে সার্থক সমর্থক।


ভাবে বুনেছি সতেজতার গুচ্ছ
মেখেছি স্বপ্ন জুড়ে সবুজ হরিদ্রা
ফুটাব সকল হৃদে স্বপ্নালু মুকুল
মননিবেশ ছিল পরম মমতা ।


জানালার খিড়কীতে ঠেকাই মাথা
অন্তহীন সমিরনে মাতাল হাওয়া
উনুনেতে তপ্ত তাম্র বর্ণ অণ্যের হাঁড়ি
জিঙ্গে মাচায় প্রজাপতির রঙ দিয়ে কারো ছবি আঁকি।


মেলেছি মনের অলিন্দে ঘাস ফড়িংয়ের ডানা  
কল্পবনে সেফালী কাশের প্রলেপ
দোলন জাগে হাসনা হেনা
ভবে তোলে শিহরণ
উদাসী মন কানায়-কানায় ভরে গেল উদ্দিপনায।


রাশি রাশি মালতী
রক্ত জবার স্বপ্ন জমানো রাঙ্গা রঙ
ঢেলে দিয়েছে সোহানার এক তাজা বিকেল
দৌড়ে পালাইয়ে বাঁচল বিরহী কূল।


কোন এক অচিন নাজানা কণ্ঠের সুর ধরি
ম্লানে যায় দুঃখের ভেলা
তাঁকিয়ে তাকাই দূর পানে
পায়রা জুগলের ঠোঁটে দেখি আনন্দ
খুঁজে লুপে পাই গন্তব্যের কিনারা জগৎ।


মশল্লাদানীর নির্গত মুহুর্মুহুর সুবাতাস
বিলীনে যায় চৈতির খড়া
জড়িয়ে জড়াল বৈশাখী হাসি
স্বাদর সম্ভাষণে শ্যামলা রঙের রন্ধনশালা
অসংখ্য গ্রহ উঠেছে মেতে হয়ে সুভ্র কোমল ।


হিমেল মৃদু পরশ ছোঁয়ায় সাঙ্গ হয় পুরোবেলা
ক্ষীণ হয়ে আসা মৃদু শ্বাসের তেষ্টা কাটে
রচি সপ্ন বাসর
আসে সান্ধ্য যবনিকা
আলো স্নিগ্ধতায় সেঝে উঠলো রুপালী আকাশ
যেন তাপোত্তীর্ণ দীঘি দিয়েছে ধুইয়ে কষ্ট গ্লানি।
(০৫/০৪/২০১৪)


-হায়দার
প্যারিস,ফ্রান্স
০৬/০৪/২০১৪