অস্তিত্বের চোয়ালে
হঠাৎ করে প্রচন্ড ধাক্কা খেলাম-
কে যেনো আমার
প্রকাশের স্বাধীনতাটাকে কেড়ে নিতে চাইলো,
আর আমি উদ্বাস্তুর মতো নিলিপ্ত চেয়ে রইলাম;
এমনিতেই আপনার মধ্যেই পরবাস,
তার উপর প্রকাশহীনতার দেউড়ি।


হ্যা, ভুগেছি বহু বছর
এই নির্লিপ্ততার লেবাসে নিজেকে জড়িয়ে রেখে-
দূর থেকে কে যেনো প্রতিদিন অতি তীক্ষ্ণ স্বরে
চিৎকার করে বলেছে-
জাগো, জাগো হে!


ঘুমহীন প্রাতের
নির্ঘুম রাতের সঙ্গী হওয়া আর কতকাল?


পা দু’টো তো অসাড় হয়ে যাবে,
না পদচারণার ফলে-
হোক না তা বিক্ষিপ্ত, তবুও প্রচেষ্টারত হও
পেজা পেজা মেঘের মতো,
শ্রাবণে ভেজা পিচ্ছিল পথের মতো,
উটপাখির পালকের মতো-


হতে পারে পথটা, কিছুটা ছড়ানো ছেটানো
কিছুটা পিচ্ছিল, কিছুটা মসৃণ-
তবুও প্রচেষ্টারত হও।


আর আমি, একটু তৎপর হলাম
ভেজা কাকটা যেমন ঝাড়া মেরে উঠে-
আবার আমি পথের এক প্রান্তে এসে দাঁড়ালাম।


হোক না তা একেবারে শেষে, কিংবা না হয়
অতিক্রান্ত পথেই
হোকনা নতুন করে পরিক্রমা।


ক্লান্তিতো অত সহজেই হার মানাতে পারবেনা আর,
এই অবিশ্রান্ত স্মরণীর সীমারেখায়।


(এ লেখাটা জীবন থেকে নেয়া। এখানে কোনও
প্রকার রাজনৈতিক বক্তব্য নেই।
ধৈর্য ধরে লেখাটা পড়ার জন্যে অশেষ ধন্যবাদ)