ওহে অর্ণব,
তব কাছে রহিলো মোর এই মিনতি-
গ্রহণ করোহে এই ক্ষুদ্র জলকণা
চিত্তটা ভরে, ছিনুতো একদা খরস্রোতা অতি।


লইয়া নিজের জলরাশি,
ধাবিত হয়েছি তব পানে-
তপ্ত খরায়, মত্ত বরষায়,
অতিশয় অনুপ্রাণনে।


ওহে জলধি,
কি বিশাল তব পরিধি-
ধরাকে করেছো অচ্ছ-স্বচ্ছ,
নিমিত্ত আমি, করেছি অর্পণ অনাদিকাল ধরে
তব সন্নিধানে, তবে কেন জানি
বাধাগ্রস্ত হয়েছে মোর গতিবিধি।


আকুল পরাণে তব সকাশে কহি,
ক্ষমিয় মোরে নিজ গুনে-
যদিও আমার প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা,
যতদিন আছি এই অবনীতে-
বাধাহীন ভাবে
তব পানে যেন বহি।


(অর্ণব, জলধি- সমুদ্র;
অনুপ্রাণনে- প্রেরণায়;
সন্নিধানে – কাছে;
সকাশে – নিকটে;
অবনী- পৃথিবী)