ছোট্ট সে এক ভোরের পাখি, যাচ্ছে করে ডাকাডাকি
যাচ্ছে নেচে পুচ্ছ নেড়ে, অবাক চোখে তাকিয়ে থাকি।


অরুণ রবি জাগার আগে, তাহার কাছে কি বর মাগে-
কোমল পাখায় ভর করে সে, চাইছে মেলে আঁখি।
ঊষার রাঙা আঙন ঘিরে, নীল গগনের বুকটা চিরে-
হাসলো আবার নবীণ আলো, কোথায় তুলে রাখি।


বটের শাখেতে লেগেছে যে জটা, ডুমুরের ডালে ফুল
কাননে ফুটেছে জুঁই, চামেলী, দুলেছে দোদুল দুল।
পাতার উপর পাতাটি জড়ায়ে, সেজেছে পাকুড়ের শাখা
মাধবীর রেণু কায়াতে মেখে যে, প্রজাপতি মেলেছে পাখা।
বুড়ো অশথের ছায়াতে বসিয়া, রাখাল ধরেছে সুর
মায়াভরা সেই সুরের পরশে, ডেকে নেয় বহুদূর।


ছোট্ট পাখিটা ডানা দু’টো ঝেড়ে, মায়ের কোলেতে ডাকে
দূর গগনে পেজা তুলো মেঘ, কার যে অবয়ব আঁকে।
চক্ষু মেলে সে আঁড়ি পেতে চায়, পূব গগনের পানে
নিদ্রা টুটেছে ছোট খুকিটার, ঘুম ভাঙ্গানিয়া গানে।
সূর্যটা এলো চড়ে স্বর্ণরথে, রাত্রি কয়, আর নয়
গেয়ে উঠে সবে জীবনের গান, দিবস করে নিলো জয়।


(“ভোরের মাঝি” কাব্য থেকে)