দেখেছোকি ওই যে কুঞ্জলতা,
ঝুলে আছে শাখা জুড়ে-
কি মায়াবী, মোহনীয়, স্নিগ্ধতা ছড়ায়
নিজের বেদনাকে লুকিয়ে রেখে।


ওই যে রজনীগন্ধা,
নিজেই নিজের ঘ্রাণে বিহ্বল-
চিত্তে লয়ে পরিশুদ্ধতার স্বরূপ
বিলায়ে দেয় নিজেকে অকাতরে,
বিদীর্ণ বক্ষে যদিওবা
রয়েছে জমানো কত ব্যথা।


ফুটে থাকা কুসুমকলি,
ভরায় প্রতিভোরে অঞ্জলী-
কতই না শোভা পায়
রমনীর খোঁপাতে, হাতে, গলায়
মালা গাঁথা হলে পরে-
নিজের অজান্তেই ঢেকে রাখে
হৃদয়ের যত নাবলা কথা
সকলের অগোচরে।


ওদের দেখে ঈর্ষা হয়।
আমিও তো হতে চাই, ওদের মতো
নিজেকে বিলীন করে দিতে চাই
এই বিশ্ব চরাচরে-
যদিওবা জানি, চাইলেই তো
যায়না পাওয়া, অনেক কিছুই।