একদল জোনাকি,
প্রাণের আকুতি দিয়ে, অতিশয় নীরবে
বাঁশ বাগানের আঁধারে আলো ছড়িয়ে দিয়ে বল্লো,
সারা পৃথিবীকে এমনি করে আলোকিত করার ইচ্ছে রইল-


একদল জোনাকি,
কোন ক্ষতিপূরণ ছাড়াই অভাগিনী মায়ের প্রদীপ নেভানো ঘরটাকে
আলোকিত করে রাখলো,
আবির রাঙানো রঙে, ভোর নাগাদ-


একদল জোনাকি,
অভিমান ভুলে দুখাইএর হেসেল ঘরের মাঁচার নিচে
জড় হলো, আর আলো দিয়ে চল্লো,
যতক্ষণ না উনুনের আগুন আবার নতুন করে জ্বালানো হয়-


একদল জোনাকি,
মেহগনি গাছের ফাঁক গলে, ফনিমনসার ঝাড়ে পড়া পূর্ণ শশীকে বল্লো,
ক্ষতি নেই, তুমি একটু বিশ্রামে যাও,
আমরাতো আছিই হেথা, ধরিত্রীরে আলোকিত করিবারে-


একদল জোনাকি,
একুশের প্রথম প্রহরে জেগে উঠে,
শহীদ মিনারের পাদদেশকে উদ্ভাসিত করেই জ্বল্লো,
আর কইলো, ঘুমাও তোমরা শান্তিতে,
রয়েছিতো আমরা তোমাদের চির প্রতির্ভ হয়ে-


একদল জোনাকি,
শত কোটি আলোক বর্ষ দূরে থাকা
নক্ষত্রগুলোকে সাথী করে,
সারারাত মিটিমিটি করে জ্বল্লো,
আর, হয়ে রইল মহাকালের স্বাক্ষী।


(“স্বাধীনতার আত্মকথা” কাব্য থেকে)