নদী রচনাটা লিখে, শব্দগণনা শেষ করে ঠোঁটস্থ করা-
আহা!
কি ভাবাবেগ নিয়েই না লেখা সেটা।
অর্গানিক কেমিষ্ট্রির মলিকুলার চেইন রিএ্যাকশানগুলোকে
শাণিত করবার বার বার প্রচেষ্টা, যাতে করে হুবহু
উগল দিতে পারা যায় পরীক্ষার খাতায়।
ঐচ্ছিক গণিতের সমীকরণগুলোকে বাম চোখে একবার,
ডান চোখে একবার দেখে দেখে মেলানোর প্রচেষ্টা।
বাঁশের গায়ে তেল মেখে বানরের উপরে ওঠার
অংকগুলো কি বেদনাদায়কই ছিলো,
সাথে ছিলো প্রাক্কলিত ব্যয় সহ সুদ কষার অংকগুলো।
কেন?
ঐ বয়েসেই সুদ খাওয়া শেখা, নাকি সুদ কি জিনিস,
সেটা গলাধঃকরণ করা!
ছিলো অসাধু গোয়ালার দুধে পানি মেশানো অংকটা,
অবাক হই!
ওই শিশুতোষ মনে অসাধু হবার নিমন্ত্রণ?
আরও ছিলো, চৌবাচ্চার এক ফুটো দিয়ে যাচ্ছে পানি পড়ে,
আর এক ফুটো দিয়ে পানি কত ঘন্টায় ভরে?
ইস্-
কি নিদারুণ ফাঁকিবাজি- ওগুলো শিখে আমার কি লাভ?
কি লাভই বা হবে সমাজের, দেশের-
এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাইনি।
তবে, অংকগুলোর পাশে চারটে স্টার চিহ্ন দিয়ে
লিখে রাখতাম, ভিভিআইপি। কারণ, ঘুরে ফিরে
প্রতি বছরই ফাইনালে ঐ অংকগুলোই আসতো।
নির্জলা মিথ্যেগুলোকে সত্যি প্রমানিত করে,
বিতর্কের বিরোধী বক্তা হবার নেশাটাও খারাপ লেগেছে।
ওটাকি পরে সমাজের চোখে ধুলো দেবার আঁতুড়ঘর নয়?


তখনকার দিনে এখনকার মতো জিপিএ পদ্ধতি ছিলোনা,
তবুও উচ্চতর নাম্বারের জন্যে কি প্রাণান্তকর প্রতিযোগীতা!


বহুদিন হলো, দেশের শিক্ষাব্যবস্থা সম্বন্ধে অবহিত নই,
জানা নেই এখনও ঐ বিদঘুটে অংকগুলো শেখানো হয় কিনা-
তবে কেন জানি মনে হয়,
সমাজ-দেশ-জাতির সমৃদ্ধির জন্যে,
সামাজিক ও অর্থনেতিক উন্নতির লক্ষ্যে এবং
সর্বপরি, আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে ব্যাপ্তিত হ’বার নিমিত্তে
কার্যকরী শিক্ষাব্যবস্থার বিকল্প নেই।
(লেখাটা একটু বড় হয়ে গেলো, তবুও ধৈর্য ধরে পড়ার জন্যে ধন্যবাদ)