সেই কাকডাকা ভোরে বাগান থেকে এক গুচ্ছ বেলী ফুল তুললাম-
যে তার হাতে দেবো, যাতে করে সে খোঁপায় গুঁজে দিতে পারে,
আর পাশের বাগান থেকে কিছু শেফালী উঠালাম,
যা দিয়ে বিনি সুতোর মালা গেঁথে সে যেন গলায় পরতে পারে,
কিন্তু কই, সে তো এপথটা আর মাড়ালোনা।


মুখুজ্জে বাড়ির বাগানে গোলাপ ফুটে, বিরাট আকারের-
খুব সুবাসিত- অনেক অনুনয় করে কাঁটা এড়িয়ে
একটা লাল গোলাপ ছিড়ে হাতে নিলাম,
যেটা তার হাতে দিতে চেয়েছিলাম-
কই, সে তো এপথটা কোন মতেই মাড়ালোনা।


আমার দরজার সামনে একটা হাসনুহেনার গাছ ছিল-
প্রতিদিন প্রার্থনার প্রস্তুতকালের জল গড়িয়ে যেতো
তার গোড়ায়, আর তাতে সে উদ্দেলিত হয়ে-
সারা বছরই ফুল ফোটাতো-
কোন এক সাঁঝে এক গোছা হাসনুহেনা হাতে নিয়ে,
পথ পানে চেয়ে রইলাম-
নাতো, সে এলোনা এই পথটা মাড়াতে।


এমনি করে কতটা প্রভাত, দ্বিপ্রহর, সাঁঝ পার হয়ে গেছে,
সে কিন্তু কোন দিনই এই পথে ফিরেনি,
আর আমার অপেক্ষার প্রহর গোনাও থেমে থাকেনি-
খোলা জানালা দিয়ে, নিশীথ রাতের তারা গোনা অবধি।
হায়রে দুরাশা! তোকে না কতবার বলেছি,
মিছে আশা বাড়াসনা আর-
তোর তো সাহস বলিহারি, তুইতো বলেই খালাস,
সে এপথে ফিরে আসবেই একদিন-
আমি বলি ওরে হতচ্ছাড়া, সে তো আর ফিরবেনা,
কারণ, সে মনে করে তার কাছে আমার আর নেই কোন ঋণ।


("নীলাচলের নীলিমায়" কাব্য থেকে)