আপন জ্যোতিতে বিভোর হইয়া, ওহে জ্যোতির্ময়
গড়িয়াছো ধরা- এ নিখিল বিশ্ব, দিয়াছো তাহাতে কত লয়।
ভাঙ্গা ও গড়ার খেলার মাঝে, জাগায়েছো কত কথা
দুঃখ-সুখের পরতে পরতে, সাজায়েছো আকুলতা।
আপনার মাঝে ছিলে একাকী, হঠাৎ হইলো কি সাঁধ
সৃষ্টি করিলে মানব সত্তা, ঘটিলো তাহাতে যত বিবাদ।
মাটির পিন্ডকে ফুৎকার দিয়া, কহিলে, মানুষ হ
বুঝিবে কে যে তোমার লীলা, সবাই হয়ে গেলো থ।
কহিলে ডাকিয়া এখন হইতে, স্বর্গেই বাস করো
প্ররোচনায় পড়ি, মানুষ তুমি, অন্যায় পথ ধরো।
ব্যথিত হইয়া, কহিলো ভুস্বামী, ধরাতে যাইয়া পড়ো
ন্যায়-অন্যায়ের মাঝেতে লড়িয়া, নিজের জীবন গড়ো।


সেদিন হইতে মানব সকলে, করিয়া চলে বিগ্রহ
একে অন্যের প্রতি নাই সহানুভূতি, নাই কোন আগ্রহ।
তবুও চোখদু’টি সরায়ে নেয়নি, বিশ্বের বনমালী
সযতনে সে আপনার মনে, ভরায়ে দিয়াছে ডালি।
মানব জনম করিতে সফল, পাঠায়েছে কত নবী
অন্ধ তাহারা বোঝেনাতো কিছু, ভুল বুঝিয়াছে সবি।
মানব সকল বড়ই অকৃতজ্ঞ, বুঝিতে পারেনা তা বটে
অপরাধ গুলি করিয়াই ফেরে, ভুবন মাঝীর এই তটে।


ওহে মানব, জাগিয়া ওঠো, রহিওনা আর আঁধারে
বিবেক-বুদ্ধি প্রকাশিত করি, স্মরণ করো তাঁহারে।