মাটির শানকিটার খোলে, শুধুই হাওয়া খেলে যায়।
দেখা পায়না কখনও, পান্তাভাত গড়ানো জল,
কিম্বা পাশের বাড়ির ফেলে দেয়া উচ্ছিষ্ট।


অলস পুকুরের জলে, এক কোণে, একদল ব্যাঙাচি
কিলবিল করে ভাসে, কি উচ্ছাসে, তা নিজেরাই জানেনা।
বহুদিন হলো, বরষার দেখা মেলেনি।


কানা বকটা, মজা পুকুরের ধাঁরে, একপায়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে
সেই কাকভোর থেকে। একটা তেচোখা মাছেরও দেখা মেলেনি,
শুধু ধাঁরের বাবলা গাছের পাতাগুলো, ঝরে ঝরে পড়েছে সেথায়।


বোকা মাছরাঙা, সেই থেমে থাকা জলকে আরশি মনে করে
অবয়বখানি বারবার যায় দেখে। দেখে যায়, যেন কতকাল
এই নাখাওয়া মুখটাকে দেখেনি।


ঝড়ে ভাঙ্গা একটা নিমের ডাল, এসে পড়েছে সেই জলে,
আর তাতে দূর হতে উড়ে আসা, একটা দলছুট প্রজাপতি
বসে বসে পাখা নাড়ে, আর ভাবে, এর পরে যাবে সে কোথায়?...


কিন্তু, ওই যে মাটির শানকিটার কেউ কোন খোঁজ রাখেনি।
আর তাতে দয়া করে ঢেলে দেয়নি কেউ
একমুঠো ফেলে দেয়া পান্তাভাত।


“মেঘের আড়াল” কাব্য থেকে।