অপাংক্তেয় হবার জোগাড় দেখি যে।


পুড়ে যাওয়া বিড়ির পাছাটার মতো,
তবু সেটা কুড়িয়ে নিয়ে দুই আঙুলে মুছে
কেউ কেউ সুখটান দেয়-
কিন্তু, এমনিই পরিস্থিতির শিকার যে,
সময়ের কাছে ধরাশায়ী।


বুড়ী ভিখারিনী তো পেটের দায়ে হেঁটেই চলেছে,
ভালো করে হেঁটে চলার মুরোদ নেই
তবুও করবে কি
কেউতো আর দানছত্র খুলে বসেনি-
তাইতো সকাল-সন্ধ্যে এপাড়া-ওপাড়া হাতপাতা
আর হাপিত্যেস করা।


বুড়ো বটের ডালে ঝুলে আছে ঝড়ো কাক,
তারও গ্রাসটা হস্তগত হয়ে যায় ক্ষণে ক্ষণে।


ধনুকের মতো ন্যুজ্ব হয়ে যাওয়া স্কন্ধে
আবারও সোজা হয়ে উঠে দাঁড়ানোর
কি নিদারুণ প্রচেষ্টা।


সাথী হয়েছে শুধু, পাটে পাটে ভাঁজ করা স্মৃতিগুলো-
ওগুলোই কি ছিঁড়ে ফেড়ে খেয়ে ফেলবো নাকি?!