পদ্মাবতী, কন্যা তোমার
রূপের কথা কি করে প্রকাশিব,
কথামালা সব উবে যায়
বর্ণনা তাহার কিভাবে করিব।
আঁখি দু’টি করে জলে টলোমলো
যেন কোন সঞ্চিতা,
মায়াবী চাহনি মন কেড়ে নেয়
বুঝি কোন পারমিতা।
অধরে তোমার বাঁকা হাসি যেন
কোন এক অপ্সরী,
হাসিটি তোমার ভুবন ভোলানো
যতো দেখি, মরিমরি।
শকনো পাতার মর্মর বাজে
হেঁটে যাও যে পথে,
পক্ষীকুজন হরষিয়া উঠে
আগমনীর শপথে।
চুলগুলো যেন বাতাসে দোলানো
ঘন কালো মেঘের রাশি,
ঝলোমলো করে রোদের কিরণে
বাজে রাখালিয়া বাঁশি।
কন্ঠে তোমার অমৃত ঝরে
যেন চিরচেনা কোন সুর,
যতই শুনি বিমোহিত হই
লাগে বড়ই সুমধুর।
......


করিব কি আর রূপের বর্ণনা
তুলনা তাহার নাই,
ভেসে থাকো তুমি হৃদয় সরোবরে
আমি শুধু লিখে যাই....
(বেশ কয়েক বছর আগে লেখা এই ক্ষুদ্র প্রয়াস।)