কুঁড়েঘর অশ্রুজলে ভিজে, ভেবে যায় দিবারাত্রি
বরষা-বাদল,
সবই তো পড়ে চালার ওপরে
হলোনাকো কেহ সহযাত্রী।


তার উপর রয়েছে, বজ্রপাতের চমকানি
হেরিয়া এহেন অবস্থা,
আধুনিক-অভিজাত
দালান কোঠারা করে যায় কানাকানি।


ঝড়ের দমকা হাওয়ায়,
কুঁড়ের চালাটা বারবার নড়ে যায়।


দালান হাসিয়া কহে,
ওগো কুঁড়েঘর, ওগো
মিছেই তুমি ঝড়-বৃষ্টিতে,
এমনি করে এতো ভোগো।


দেখোতো আমারে, কত শান-শওকতে
রয়েছি যে আমি হেথা,
আর তুমি, সামান্য ঝড়-জলে
ভিজে সারা হও সেথা।


কুঁড়েঘর, অতি গর্বেতে হাসে,
কহে, জানোকিহে বন্ধু
হতে পারি জীর্ণ-শীর্ণ,
তবু কর্তা আমারে অতিশয় ভালোবাসে।


দিতে পারি আমি তারে, বছর ধরে
অন্য রকম সুখ,
তাইতো এত ঝড়-ঝঞ্ঝাতেও
দেখিতে পারো মোর, হাসিখুশী ভরা মুখ।